রেহাই মিলল না রাজধানীরও। মহারাষ্ট্রের পর দেশের রাজধানীতেও নিশ্চিত হল বার্ড ফ্লু। কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি এবার বার্ড ফ্লু’র তালিকায় রয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লির নাম।
দিল্লিতে ইতিমধ্যে পাখি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাজিপুরের বৃহত্তম পাইকারি পোল্ট্রি বাজার অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু দিল্লি না হাই অ্যালার্টে রয়েছে ছত্তিশগড়ও।
বার্ড ফ্লু একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-এ ভাইরাসের কারণে ছড়িয়ে পড়ে। একে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাও বলা হয়। হু-এর একটি রিপোর্ট বলছে H5N1 সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ এই রোগে মৃত্যুর হার করোনার ভাইরাসের চেয়ে বেশি।
বার্ড ফ্লু আতঙ্কে কিছুটা কমেছে চিকেন বিক্রি। ব্যবসায়ীর দাবি,মোবাইল জার্নালিজমের ফলে, অনেক সময় ভুল তথ্য খবর হিসাবে প্রকাশ হচ্ছে।যার ফলে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে।প্রতি বছর মুরগি ও মুরগির ডিমের ওপর এই ধরনের আঘাত নেমে আসে।যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ,মুরগি চাষীরা। এমনও হয়েছে,ক্ষতির ধাক্কা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে চাষীরা।
সাধারণ মানুষকে বার্ড ফ্লু সম্পর্কে সচেতন করার কাজও শুরু হয়েছে। পাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। পাখির মল, লালা, নাক-মুখ বা চোখ থেকে নির্গত পদার্থ থেকে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডিটারজেন্ট দিয়ে ছাদে রাখা ট্যাঙ্ক, রেলিংগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ছোট হাতের জামা না পড়ে ফুলহাতা জামা পড়া উচিৎ। এতে পাখির মলের সঙ্গে সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা অনেক কম।
দোকান থেকে মুরগীর মাংস কেনার পরে ধোওয়ার সময় অবশ্যই হাত এবং মুখে গ্লাভস পড়তে হবে। কাঁচা মাংস বা ডিমও কোনও মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে। হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিৎ।প্রায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মুরগি রান্না করতে হবে। কাঁচা মাংস বা ডিম খাওয়ার ভুল করবেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস তাপের সংবেদনশীল এবং রান্নার তাপমাত্রায় নষ্ট হয় বলে মনে করা হয়।