রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা (Chandrakona)। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হামলা জখম হয়েছেন তাদের দলের চার জন। তার মধ্যে আবার একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। যদিও তৃণমূল হামলার অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করেছে। এই ঘটনাকে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব হিসাবেই দেখছে ঘাসফুল শিবির।
বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021) শিয়রে। তাই তার আগে কোমর বেঁধে চলছে সংগঠনকে মজবুত করার কাজ। লেগেই রয়েছে মিটিং, মিছিল-সহ নানা ধরনের কর্মসূচি। শনিবার রাতেও চন্দ্রকোণায় দলীয় কর্মসূচি ছিল বিজেপির। তা সেরে ফেরার পথেই বিপত্তি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাদের উপর হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি সকলের হাতে ছিল বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় চার জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন বলেই দাবি। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্তমানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আকচাআকচি। অভিযোগ-পালটা অভিযোগে সরগরম চন্দ্রকোণার রাজনৈতিক আঙিনা। বিজেপির (BJP) দাবি, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পরিকল্পনামাফিক তাঁদের মনোবল ভাঙতে হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল সে দাবি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটের আগে ঘাসফুল শিবিরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। আদতে এই ঘটনা বিজেপির প্রাক্তন এবং নব্য গোষ্ঠীর ঝামেলা ছাড়া কিছু নয় বলেই দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ সত্যি প্রমাণ করতে পারলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের থানায় যাওয়ার কথা বলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অজিত মাইতি। এই ঘটনার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই থমথমে চন্দ্রকোণা। নতুন করে যাতে কোনও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ।