জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহ নাকি ফেব্রুয়ারি পড়ে গিয়েছে? আবহাওয়া দেখে তা ঠাহর করতে পারছেন না আবহবিদরা। নয়া বছরের পয়লা মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝি কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। যা স্বাভাবিকের থেকে ছ’ডিগ্রি বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ সেলসিয়াস। শনিবার তা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় একই অবস্থা। সপ্তাহখানেক আগেই যেখানে জাঁকিয়ে শীত পড়ছিল, সেখানে এখন সকালের দিকেও গায়ে শীতের জামা রাখতে রীতিমতো অস্বস্তি হচ্ছে। তাপমাত্রা এতটাই বেশি থাকছে যে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই পাখা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
কিন্তু জানুয়ারিতে এরকম পরিস্থিতি কেন? আবহবিদদের বক্তব্য, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত পাক খাচ্ছে। একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। তার ফলে রাজ্যের উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সামান্য উত্তুরে হাওয়া বঙ্গের সীমানায় প্রবেশ করলেও উচ্চচাপের দৌলতে তার চরিত্র পালটে যাচ্ছে। সঙ্গে পূবালি হাওয়ার দাপট বাড়ছে। বঙ্গের আকাশে ঢুকছে জোলো হাওয়া। তার ফলে রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে। শীতের আমেজ তো মিলছেই না, উলটে রীতিমতো গরম হচ্ছে। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে এবার আর জাঁতিয়ে শীত পড়বে কিনা, সে বিষয়ে একেবারে ভরসা জোগাতে পারছে না হাওয়া অফিস।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাফেরা করবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না। আগামী মঙ্গলবার থেকে পারদ কিছুটা নামতে পারে। তবে তা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের উপর থাকবে। মকর সংক্রান্তির সময় কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে। স্বাভাবিকের নীচে তাপমাত্রা কবে নামবে এবং আবারও জাঁকিয়ে শীতে পড়বে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন আবহবিদরাও। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ ২৪ ঘণ্টা পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু সেখানেও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা মালুম হবে না।