করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে ব্রাজিলে। ভারতের থেকে অক্সফোর্ডের টিকা চেয়ে পাঠালেন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। খুব দ্রুত যাতে টিকার সরবরাহ হতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন বোলসোনারো।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, চিঠিতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, করোনা সংক্রমণের নিরিখে এখনও বিশ্বের দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল। সংক্রমণে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ড তথা ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দ্রুত পাঠালে মহামারী রোখা যাবে। তবে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় কোনও বিঘ্ন না ঘটিয়েই ২০ লক্ষ টিকার ডোজের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল হয়েছে ব্রাজিলে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দশ কোটি ডোজের জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ব্রাজিলের। ভারতের সঙ্গেও টিকার চুক্তি করতে চাইছে ব্রাজিল। সেরামের টিকার পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার প্রস্তাবও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্রাজিল কোভ্যাক্সিন টিকা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে দেশের বেসরকারি হেলথ ক্লিনিক কোভ্যাক্সিন টিকার ৫০ লক্ষ ডোজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত বায়োটেককে। ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন টিকার জন্য চুক্তি করতে চায় তারা। ভারত সরকার রাজি থাকলে, প্রাথমিক পর্যায়ে টিকার ৫০ লক্ষ ডোজ কিনে নেওয়ার চুক্তি হতে পারে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, চিনের টিকা নিয়ে বিক্ষোভ কমেনি। অক্সফোর্ড বা ভারতের তৈরি টিকায় যতটা ভরসা আছে, চিনের তৈরি টিকায় একেবারেই নেই। ব্রাজিলের একটা বড় অংশের মানুষ চিনের টিকার বিরোধিতা করে পথে নেমেছিলেন। আমজনতার অভিযোগ, জোর করে টিকার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত সাও পাওলোর গর্ভনরের নির্দেশেই হাজার হাজার মানুষকে চিনের টিকা নিতে বাধ্য করা হয়েছে। গিনিপিগের মতো সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ছিল বিক্ষোভকারীদের।
ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিকের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো বারবোসা বলেছেন, ভারতের তৈরি ভ্যাকসিনে ভরসা আছে ব্রাজিলের মানুষজনের। ভারত টিকা সরবরাহ করলে তা ব্রাজিলের নানা জায়গায় বন্টন করা হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এই টিকা কিনে বিক্রি করতে পারে। শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।