গোটা দেশে ১৬ জানুয়ারি থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের টিকাকরণ শুরু হবে বলে জানাল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ভ্যাকসিনের ড্রাই রান সব রাজ্যে শুরু হয়েছে। বাংলাতেও তা হয়েছে। তার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরই শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ তারিখ থেকে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে।
গত রবিবার ৩ জানুয়ারি ডিরেক্টর জেনারেল অব ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছিলেন যে, জরুরি ভিত্তিতে দুটি কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। অন্যটি হল, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।
প্রথম দফায় ৩ কোটি দেশবাসীকে টিকা দেওয়া হবে। এরা সবাই ফ্রন্টলাইন হেল্থ ওয়ার্কার। তার পর আরও ২৭ কোটি টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। যাঁদের বয়স ৫০-এর বেশি তাঁদের প্রথমে টিকা দেবে সরকার। যাঁদের বয়স কম তাঁদের টিকাকরণ হবে তার পর।
টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি কো-উইন অ্যাপ। মোদী বলেছেন, এই অ্যাপে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন মডিউল ও ভ্যাকসিন মডিউল। রেজিস্ট্রেশন মডিউলে বলা থাকবে, টিকা নিতে গেলে কীভাবে নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। আর ভ্যাকসিন মডিউলে থাকবে টিকার বিস্তারিত তথ্য। যে যে টিকার বন্টন শুরু হচ্ছে, সেগুলি কতটা কার্যকরী, কেমন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে, টিকার ডোজ শরীরে কীভাবে কাজ করবে, কতদিন অন্তর টিকার ডোজ নিতে হবে, দুটি ডোজ নেওয়ার কতদিন পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে ইত্যাদি।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার ১৪ দিন পর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। টিকার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হলে কোড-যুক্ত ডিজিটাল সার্টিফিকেট পাঠানো হবে মোবাইল নম্বরে। টিকার অগ্রাধিকার যাঁরা পাবেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হলে আইডি প্রুফ আগে দিতে হবে। নিজের পাসপোর্ট সাইজের ফটো, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট জব কার্ড, প্যান কার্ড, পাসবুক (ব্যাঙ্ক/পোস্ট অফিস), পাসপোর্ট, পেনশন ডকুমেন্ট, যেখানে চাকরি করেন সেখানেকার আইডি কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। টিকা নেওয়ার আগে তাদের মোবাইলে এসএমএস আসবে। সেখানে টিকা নেওয়ার দিন ও জায়গা বলা থাকবে। এখনও অবধি ৭৯ জন টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।