দেশের একপ্রান্ত উত্তাল হয়ে ওঠেছে কৃষক আন্দোলনে। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা সামাল দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলায় কৃষকদের মন পেতে মরিয়া বিজেপি।
এই অবস্থায় আজ শনিবার বাংলায় এলেন জে পি নাড্ডা। বর্ধমানের কৃষকদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করলেন কৃষি শস্য! কৃষক বধূর তৈরি করা খাবারেই সারলেন মধ্যান্যভোজ।
আর তার আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরিয়ার বাবদ প্রত্যেক কৃষককে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর তা প্রধানমন্ত্রী কিষান প্রকল্পের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে। সামনেই বিধানসভা ভোট। আর সেই ভোটের আগে কৈলাশের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভোট বৈতরণী পাড় হতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার এহেন মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলা থেকে গেলে এবং বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে কৃষকরা তাঁদের বকেয়া পাবেন। প্রত্যেক কৃষককে ১৮ হাজার টাকা করে এরিয়ার দেওয়া হবে। প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা পৌঁছে যাবে। অন্যান্য রাজ্যে যেমন গিয়েছে।’ বাংলার কৃষকদের ভোট পেতেই এই কথা বলেছেন তিনি বলে মনে করছেন কৃষকদের একাংশ।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন আগেই ডায়মন্ডহারবার আসেন জে পি নাড্ডা। সেই সময় তাঁর কনভয় ঘিরে চলে হামলা। উড়ে আসে ইট, পাটকেল, এমনকী পাথরও। এ ঘটনায় বিতর্কের জল গড়ায় দিল্লি পর্যন্ত। নতুন করে শুরু হয় রাজ্য–কেন্দ্র সঙ্ঘাত। সে বার জখম হয়েছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
আর এবার নড্ডার বর্ধমান সফরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। শনিবার তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গতবারের মতো যদি পরিস্থিতি হয় তা হলে এবার বুঝে নেবে বিজেপি।
কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব।’ এদিন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তার দায় রাজ্য সরকারের। আর আমার মনে হয় ওরা যদি নিরাপত্তা ঠিকমতো না দেয়, তবে আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির সুরক্ষার জন্য আমাদের কর্মকর্তারাই যথেষ্ট। আমার বিশ্বাস, সরকার আর আগের মতো ভুল করবে না। আর যদি করে, তবে তার জবাব আমরা দেব।’ অন্যদিকে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলে আর কেউ থাকতে চাইছে না। আর সেই কারণে প্রায় ৪০ জন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে, এমনটাই জানিয়ছেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।