ভারত সবার কাছে তার উচ্চ দর্শনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাক যুগ থেকে যুগান্তরে

আজকে আমেরিকায় যেটা হয়েছে তা অত্যন্ত অদ্ভুত ঘটনা। এমন ঘটনা পূর্বে কখনো ঘটে নি ,তবে হয়তো ভবিষতে ঘটতেও পারে। এমন ঘটনা আমেরিকা কোনো দিন দেখেনি বা পৃথিবী কোনো দিন ভাবে নি যে এমন ঘটনা আমেরিকা দেখাবে। রাজনৈতিক ভাবে আমেরিকা ভীষণভাবে একটি কলোনাইজড জায়গায় আছে। ট্রাম্প নিজেও একটি পোলারাইজড ক্যারেক্টার। ট্রাম্প বলতে গেলে একজন কাল্ট ফিগার। তাই আমেরিকায় ট্রাম্পের প্রচুর ফলোয়ার আছে , তেমন প্রচুর বিরোধীও আছে। কিছু কাল পূর্বেই আমেরিকায় ভোট যুদ্ধ সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প এবং তার অনুগামীরা রিগিং হওয়ার অভিযোগ বার বার জানিয়ে এসেছে। অতিমারী কারণে ব্যালট ভোটও প্রচুর হয়েছে। তাই রিগিং হওয়া স্বাভাবিক বলেই ধরে নিয়েছেন ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকগণ। ভোটে কারচুপি, রিপাবলিকানের ভোট কেটে নেওয়া , প্রচুর ডোমিন ব্যবহার করে ভোট বিরোধী পক্ষের প্রতি করার কারনে রাতারাতি ভোটের ফল পরিবর্তন হয়েছিল বলেই তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা।

যেহেতু আমেরিকা একটি প্রথম সারির দেশ , সেহেতু উক্ত ঘটনা অনভিপ্রেত। ফলে, অনেকেই উক্ত দাঙ্গার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন। সেই কারণে রিপাবলিকানের বহু উচ্চপদস্থ ব্যক্তিগণ দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন। যা হচ্ছে একদমই ঠিক বা ভালো হচ্ছে না ,রাজনৈতিক এবং সামাজিক উভয়ের জন্যই এগুলি ভীষণ ক্ষতিকারক।

সেই রাগ তাঁদের মধ্যে এত দিন ধরে জমে ছিল। পরশুর ঘটনা সেই রাগের ই প্রতিফলন । পরশু জর্জিয়া শহরে সেনেটের ভোট ছিল। এখন দুটোই যদি ডেমোক্রেট জিতে যায় তবে তাঁরাই জয়ী এবং ক্ষমতার অধিকারী বলে স্বীকৃত হবেন । যদি রিপাবলিক একটা ও ডেমোক্রেট একটায় জেতে তাহলেও রিপাবলিকের হাতে কিছু ক্ষমতা থাকে। কিন্তু সেনেটের ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা গেল , খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও ডেমোক্রেট জিতে গেছে। ফলে ট্রাম্প সমর্থকদের সব ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। ট্রাম্পও এটা করা উচিৎ বা উচিৎ নয় ইত্যাদি লিখে টুইট করেন। ট্রাম্প সমর্থকরা এরপর প্রায় উন্মাদ হয় ওঠে। তাঁরা ওয়াসিংটন ডিসিতে রীতিমতো দাঙ্গা করেন। এখানে একটা কালাশনিকভ কালচার আছেই। প্রায় সকলের হাতেই বন্দুক আছে। ফলে , বন্দুক , অগ্নিসংযোগ ইত্যাদিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এমন ঘটনা কেউ কোনোদিন দেখেনি।

এমন ঘটনা ঘটা কেবলমাত্র রাজনীতি নিয়ে ঘটা উচিত নয়। স্বয়ং মোদীজি পর্যন্ত উক্ত ঘটনার নিন্দা করেছেন। দেখুন ভারতে বিগত দীর্ঘ বছর ধরে মোদীজিকে তো কম গালাগালি দেওয়া হয় নি , কম নোংরামি হয় নি তাঁকে নিয়ে, কিন্তু তিনি ও তাঁর সমর্থকরা সব বিষ কন্ঠে ধারণ করে কেবলমাত্র ভালো কাজ দিয়ে , ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি শত্রু জয় করেছেন। এই কারণেই ভারতকে বিশ্বগুরু বলা হয়। ভারত সবার কাছে তার উচ্চ দর্শনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাক যুগ থেকে যুগান্তরে।

সব কা সাথ , সবকা বিকাশ এই মর্মে বিশ্বাস রেখে মোদীজি সকল কু , সকল অপ্সমারকে জয় করেছেন। সুবিশাল ভারতে ভাষা , জাতি , ধর্মের মধ্যে বিশাল বৈচিত্র্য । অনেক রাজনৈতিক , সামাজিক সমস্যা আছে। কিন্তু সব সমস্যাকে সুন্দর অথচ কূটনৈতিক ভাবে অতিক্রম করাই একজন প্রকৃত ৰাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচয়। সেই পরিচয় মোদীজি দিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে সারা বিশ্বের রাজনৈতিক বিষয় অনেক কিছু শেখার আছে ,জানার আছে। কেন যে মোদীজিকে বিশ্ব নেতা বলা হয় তা উক্ত ঘটনাগুলি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেয়। সত্যই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ এবং আমাদের দেশ নেতা মোদীজিকে নিয়ে তাই আমাদের গর্ব বোধ করতে ই হয়।

©যুধাজিৎ সেনমজুমদার, টেকনোলজি এন্টারপ্রনার, সিলিকন ভ্যালি, ফাউন্ডার এনারআইস ফর বেঙ্গল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.