অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে আসছে করোনা ভ্যাকসিন । তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজ্যের সেন্ট্রাল স্টোর । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ‘ হু ‘ এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা সেন্ট্রাল স্টোর পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এই সেন্ট্রাল স্টোরে রয়েছে ওয়াকিং ফ্রিজার, যেখানে মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ওয়ার্কিং কুলার, যেখানে ২ থেকে ৮ ডিগ্রিতে ভ্যাকসিন রাখা হয়।
সূত্রের খবর, করোনা ভ্যাকসিন রাখা হবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রিতে। অর্থাৎ ওয়ার্কিং কুলারে। আজ শুক্রবার যে কোনও সময় রাজ্যে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। কেন্দ্র থেকে বিশেষ বিমানে দমদম বিমানবন্দর, সেখান থেকে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়িতে করে সেন্ট্রাল স্টোরে নিয়ে আসা হবে করোনা ভ্যাকসিন। তারপর এখান থেকে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
তবে শুধু করোনা ভ্যাকসিনই নয়। রাজ্যের এই সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হয় অন্যান্য ভ্যাকসিনও। ১৯৬৭ সাল থেকে চলছে এই স্টোর। করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হচ্ছে সেন্ট্রাল স্টোর।
যদিও কোভ্যাকসিন নাকি কোভিশিল্ড কোন ধরনের ভ্যাকসিন আনা হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এছাড়া ঠিক কত ডোজ ভ্যাকসিন আসবে, তাও এখনও কিছুই জানা যায়নি।
অন্যদিকে আজই দেশের ৭৩৬ জেলায় শুরু হচ্ছে ড্রাই রান। কীভাবে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, তার পুরো প্রক্রিয়া কেমন ভাবে হবে, তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে এদিনের ড্রাই রানে।
এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর, ৪ রাজ্যে একযোগে দুদিনের জন্য ড্রাই রান চালানো হয়েছিল। এর পর ২ জানুয়ারি দেশের সব রাজ্যে একযোগে ড্রাই রান চালানো হয়। এবার ৮ জানুয়ারি হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং অরুণাচল বাদে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আবারও টিকার ড্রাই রান শুরু করা হচ্ছে।
২ জানুয়ারি রাজ্যের তিনটি জায়গায় হয়েছে ড্রাই রান। বিধাননগর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ফোরে এই ড্রাই রান চালানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ড্রাই রানে অংশ নেন৷