ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের প্রশংসা। মোদী বলেন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেশের নিজের ভ্যাকসিন। দেশকে আরও স্বাতন্ত্রতা দিয়েছে, আত্মনির্ভর বানিয়েছে এই দুই ভ্যাকসিন।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি দেশের মানুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। কিছুদিন আগেই এই দুটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তাই ২০২১ সালের শুরুতেই আত্মনির্ভরতার গতি বেড়েছে ভারতে। তার পিছনে দেশে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন দুটির অবদান অসামান্য। নিজের দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের জন্য মাথা উঁচু হয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসীর। এমন কেউ নেই, যিনি এই পদক্ষেপে খুশি হননি, গর্বিত হননি।
ভারতে ইতিমধ্যেই এমার্জেন্সি অথরাইজেশন বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে অক্সফোর্ডের ‘কোভ্যাক্সিন’ যা ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি হয়েছে ও ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভিশিল্ড।’ ফলে এগুলি যে খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষকে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবে, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
একদিকে যখন ভারতে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে তার মধ্যে এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতে ৫৮ জন এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছে। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সব ভ্যাকসিনই কাজ করছে। কোনও মিউটেশনই এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনকে হার মানাতে পারেনি। অন্যদিকে, সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ৫০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিওন এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে মজুত রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সরকার একবার অনুমোদন দিলেই ওই ভ্যাকসিন বাজারে আনার বন্দোবস্ত করে ফেলবেন তাঁরা। কাগজে-কলমে সব ফর্মালিটি চলতি সপ্তাহেই মধ্যেই মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই তা বাজারে আনা সম্ভব বলেও আশ্বস্ত করেছেন পুনাওয়ালা।
এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৮ হাজার ১৩৯ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের। নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৪৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৩৭ হাজার ৩৯৮ জন। দেশে করোনার মোট মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের।