মানসিক ভাবে কিছুটা স্বস্তি পেতে চলেছে রাজ্যবাসী। আজ শুক্রবার রাজ্যে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিন স্টোর করে রাখা হবে বাগবাজারে স্বাস্থ্য দফতরের স্টোরে। পরে প্রয়োজন মতো তা ব্যবহার হবে।

যদিও কোভ্যাকসিন নাকি কোভিশিল্ড কোন ধরনের ভ্যাকসিন আনা হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এছাড়া ঠিক কত ডোজ ভ্যাকসিন আসবে, তাও এখনও কিছুই জানা যায়নি।

অন্যদিকে আজই দেশের ৭৩৬ জেলায় শুরু হচ্ছে ড্রাই রান। কীভাবে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, তার পুরো প্রক্রিয়া কেমন ভাবে হবে, তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে এদিনের ড্রাই রানে।

এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর, ৪ রাজ্যে একযোগে দুদিনের জন্য ড্রাই রান চালানো হয়েছিল। এর পর ২ জানুয়ারি দেশের সব রাজ্যে একযোগে ড্রাই রান চালানো হয়। এবার ৮ জানুয়ারি হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং অরুণাচল বাদে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আবারও টিকার ড্রাই রান শুরু করা হচ্ছে।

২ জানুয়ারি রাজ্যের তিনটি জায়গায় হয়েছে ড্রাই রান। বিধাননগর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ফোরে এই ড্রাই রান চালানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ড্রাই রানে অংশ নেন৷

উল্লেখ্য, গুজরাত, পঞ্জাব, অসম এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ড্রাই রান সম্পর্কিত ভালো খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই দেশজুড়ে ড্রাই রান চালানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে কেন্দ্র। এখন আরও একবার, সারা দেশে ড্রাই রান চালাতে চলেছে কেন্দ্র।

ভারতে দুটি করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন – জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।

টিকাকরণের কাজ চালাতে গিয়ে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কিনা, বা টিকাকরণের গতি বাড়াতে গেলে আরও কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, এ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হয় ড্রাই রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.