জুট কর্পোরেশন ও ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান হলেন শুভেন্দু অধিকারী। বস্ত্র মন্ত্রকের প্রস্তাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত বৈঠক হয় নয়াদিল্লিতে। সেখানেই শুভেন্দুর চেয়ারম্যান পদে মান্যতা দেয় নিয়োগ কমিটি।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের ইচ্ছেতেই শুভেন্দু অধিকারী এই পদে গেলেন। এই পদ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ই-মেল মারফত তার নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়োগের ফলে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সদস্যের মর্যাদা পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। নয়া পদ পেয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় যে কেন্দ্রীয় সরকার আমার ওপর ভরসা রাখছেন।
যদিও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এর থেকে বোঝা যায়, বিজেপি–র পলিসি হল দলের পুরনো কেউ নয় নতুন কেউ এলে তাঁকে সোনার সিংহাসন দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে ফোন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে নথিপত্র জোগাড় করার কাজ সেরে ফেলেছে কেন্দ্র। শুভেন্দু অধিকারীর বায়োডেটা চেয়ে পাঠানো হয়। ঠিক হয়, নতুন ইংরেজি বছরে তিনি এই পদে যোগদান করবেন। সেই মতো আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শুভেন্দুর চেয়ারম্যান পদে মান্যতা দেয় নিয়োগ কমিটি।
জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই দিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু। সেখানে গিয়ে তাঁর কাজ বুঝে নিতে পারেন তিনি। এমনকি, দেখা করতে পারেন অমিত শাহের সঙ্গেও।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের উপস্থিতিতেই মেদিনীপুরে মাঠে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার আগে একে একে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক তিনি ছিন্ন করেন।
শুভেন্দু এর আগে রাজ্যে এইচআরবিসি এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই দুটি পদ ছাড়াও বিধায়ক পদ, তৃণমূল সদস্য ও মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে এসেছে তাঁর ভাইও। রাজনৈতিকমহলের মতে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।
আর সেই নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়া কার্যত বড়সড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। তবে বঙ্গে বিজেপির মায়ের তলা মাটি আরও শক্ত করবে বলেই মনে করছে বিজেপি। আর সেই কারণেই খোদ অমিত শাহের ‘উপহার’ শুভেন্দু অধিকারীকে।
যদিও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘তাঁদের দলে কে কীসের চেয়ারম্যান হবে সেটা তাঁদের দলীয় বিষয়। লোককে দেখাচ্ছে যে দলের পুরনো কর্মী নয়, কেউ নতুন এলে তাঁদের সোনার সিংহাসন দেব। আর যাঁরা দলটাকে তৈরি করবে তাঁদের হাত ফাঁকা!’