মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করল তৃণমূল। শুক্রবার বেহালার ম্যানটনের পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার ঘোষণা করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দল বিরোধী কাজে জড়িত থাকার জন্য শুভ্রাংশু রায়কে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হল।ব্যারাকপুর কেন্দ্রে জনসভা করতে গিয়ে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছে করলে রোজ লক্ষ লক্ষ মুকুল রায় তৈরি করতে পারেন।” এদিন অভিষেককে কটাক্ষ করে বীজপুর বিধায়ক বলেন, “আমি আমার বাবার জন্য গর্বিত। কেউ কেউ বলেছিল, লক্ষ লক্ষ মুকুল রায় তৈরি করবে। কিন্তু যে লোকটা একা হাতে তৃণমূলকে দাঁড় করিয়েছিল, সেই লোকটা একা হাতে গোটা তৃণমূলটাকে তছনছ করে দিল।” শুভ্রাংশুর এমন মন্তব্য হজম করা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ছিল চরম বিড়ম্বনার বিষয়। ব্যারাকপুর লোকসভার অধীন বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। আর এই কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং ৭৮৯৬ ভোটে লিড পেয়েছেন। তাঁকে সাসপেন্ড করার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের শৃংখলা সবার আগে। তাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যেই শুভ্রাংশু রায়কে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তৃণমূল মহাসচিব দাবি করেন, আমাদের দলে থেকে যেভাবে অন্য দলের নেতার প্রশংসা করেছেন শুভ্রাংশু তা দল বিরোধী কাজে সামিল। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিলেও, তাঁর বিধায়ক পুত্র থেকে যান তৃণমূলে। তারপর থেকে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে বারবার শুনেছেন পিতার নামে গাদ্দারের বঞ্চনা। তাই শেষমেষ এদিন বীজপুরের সাংবাদিক সম্মেলনে শুভ্রাংশু জানিয়েছিলেন, বাবার সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী রাজনৈতিক জীবন ঠিক করবেন। এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে সাসপেন্ড করায় শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া পথ আরও সুগম হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.