ইতিমধ্যেই দুটি কোভিড ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। শিগগির ভারতে কোভিড টিকাকরণ শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কতদিনে তা শুরু হবে সে ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা জানাল কেন্দ্র। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এই টিকাকরণ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অর্থাৎ সামনের সপ্তাহেই ভারতে শুরু হবে টিকাকরণ।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে যখন এই ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের মধ্যে একের পর এক করোনার নতুন স্ট্রেন ধরা পড়ছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন থেকে আসা ৫৮ জনের মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবারই ২০ জনের মধ্যে এই নতুন স্ট্রেন ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তবে ব্রিটেন ফেরত করোনার এই নতুন স্ট্রেনের উপরেও ভ্যাকসিন সমানভাবে কার্যকর বলেই জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “এখনও পর্যন্ত সব ভ্যাকসিন ভালভাবে কাজ করছে। কোনও নতুন স্ট্রেন ভ্যাকসিনকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি। কোনও জায়গায় একগাদা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত সব ভাল রয়েছে।”
ভারতে যে দুটি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এর মধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ৫ কোটি ডোজ তৈরি আছে।
আদর বলেন, “যে মুহূর্তে সরকার আমাদের বলবে যে তারা এবার টিকাকরণ শুরু করতে চায় এবং সেই সংক্রান্ত অন্যান্য কাজকর্ম মিটে যাবে ও চুক্তি সই হয়ে যাবে, আমরা টিকা পৌঁছে দেব। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া মিটে গিয়ে আমরা টিকাকরণের কাজ শুরু করতে পারব বলেই মনে হচ্ছে।” আগামী ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ৭ থেকে ৮ কোটি ডোজ তারা পৌঁছে দিতে পারবে বলেই জানিয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউট।
ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণের ড্রাই রান হয়ে গিয়েছে। তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ড্রাই রান থেকে প্রমাণিত, দেশের মানুষ এবার টিকা নেওয়ার জন্য তৈরি। এখন দেখার কবে থেকে ভারতে শুরু হয় কোভিড টিকাকরণ।