বারাণসীর সঙ্গে হাওড়ার একটা পবিত্র যোগ রয়েছে। কথায় বলে, গঙ্গার পশ্চিমকূল বারাণসী সমতুল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৌলতে গত ৬ বছরে গেরুয়াতে রেঙেছে বারাণসী। মোদী-শাহর তোড়জোড়ই জানান দিচ্ছে, এ বার তাঁদের নজর পড়েছে হাওড়ায়।
আগে কথা ছিল, জানুয়ারি মাসের ১৯ ও ২০ তারিখ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনক্ষণ পরিবর্তন হয়েছে। তার পর মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফা, বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ও দলের এক শ্রেণির নেতার আচরণ নিয়ে বৈশালী ডালমিয়া তীব্র সমালোচনার ঘটনায় মহানাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই সন্ধিক্ষণেই মেসেজ এল দিল্লি থেকে। তা কী?
৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দু’দিনের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। ৩০ তারিখ তাঁর সভা হবে বনগাঁয়। আর ৩১ তারিখ জনসভা করবেন হাওড়ায়।
শুধু জনসভা?
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি মেদিনীপুর কলেজ মাঠের ট্রু কপি হয়ে উঠতে পারে হাওড়ার সভা। অর্থাৎ ওই সভাও যোগদান মেলা হয়ে উঠতে পারে।
হাওড়ার যে তিন নেতা-নেত্রীকে নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে, তাঁদের নিয়ে বিজেপি আগ্রহ গোপন করছে না। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরাবরই প্রশংসা করেছেন। এদিন লক্ষ্মীরতন শুক্লর ইস্তফার পরেও দিলীপবাবু বলেন, “ভাল লোকেরা কেউ তৃণমূলে থাকতে চাইছেন না।” এঁদের জন্য বিজেপির দরজা যে খোলা রয়েছে তাও বারবারই বোঝাতে চেয়েছেন দিলীপবাবু।
তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, অমিত শাহর সভা যোগদানে বর্ণাঢ্য করে তোলার জন্য তলে তলে নানান দৌত্য চলছে। যেমন, এক প্রাক্তন মেয়র, পড়শি হুগলি জেলার এক বিধায়ক, নদিয়ার এক তরুণ নেতা ও জেলার পরিচিত মুখ সেদিন যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির দৈন্য দেখলে কষ্ট হয়। একটা রাজনৈতিক দলের নিজেদের কেউ নেই। উপোসি ছারপোকার মতো বসে রয়েছে, কখন কোন দল থেকে কে ছাড়বেন, আর তাঁকে গপ করে ধরবে।”