বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ৩০ জুলাই ১৮৮২ সালে মেদিনীপুর জেলায় বিপ্লবী সত্যেন বোসের জন্ম।
তিনি ছিলেন মনিষী রাজনারায়ণ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র তাঁর পিতার নাম অভয়চরণ বসু। তিনি মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মেদিনীপুরে বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তুলতে হেমচন্দ্র দাস কানুনগোকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। স্বদেশি দ্রব্যের ব্যবহার বাড়াতে ছাত্রদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ছাত্র ভাণ্ডার’। কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়োগ করে ছিলেন তিনি ।
তাঁর অগ্রজ জ্ঞানেন্দ্রনাথ এবং রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে মেদিনীপুরে ১৯০২ সালে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠেছিলো। সেই সংগঠনের নেতা ছিলেন হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর সহকারী। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি “ছাত্রভাণ্ডার” গড়ে তোলেন। এখানে তাঁত, ব্যায়ামচর্চা ইত্যাদির আড়ালে বিপ্লবীদের ঘাঁটি তৈরি হয়। বীর ক্ষুদিরাম বসু তাঁর সাহায্যে বিপ্লবী দলভুক্ত হয়ে এখানে আশ্রয় পান। ক্ষুদিরাম তাঁরই নির্দেশে “সোনার বাংলা” শীর্ষক বিপ্লবাত্মক ইশতেহার বিলি করে গ্রেপ্তার হন।
আলিপুর বোমা মামলার রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করে হত্যা করার পর আদালতে বলেছিলেন, “আমার কিছু বলবার নেই আমি ইংরাজের আদালতে কোনো বিচারের প্রত্যাশা করি না। নরেন গোঁসাইকে আমিই গুলি করে হত্যা করেছি, আমার কবে ফাঁসি হবে তাই জানতে চাই।”
কিছুদিন পরে কানাইলাল দত্ত ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর যথারীতি বিচার হয়। বিচারে তাদের দুজনের ফাঁসির হুকুম হয়। এই বিচারে কানাইলাল কোনোরকম আপত্তি করলেন নাকাজেই বিচারের সাতদিন পরে আলিপুর জেলে তাঁর ফাঁসির দিন ধার্য হয়। কিন্তু সত্যেন্দ্রনাতের মা ও ভাইয়ের অনুরোধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট তার আগের দণ্ডাদেশ বহাল রাখে।
আলিপুর বোমার মামলার রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাই কে গুলি করে হত্যার জন্য ১০ নভেম্বর ১৯০৮ সালে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে কানাইলাল দত্তের ফাঁসি হয়।
২২ নভেম্বর, ১৯০৮ সনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসি হয়।