সভার মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার মুন্সিরহাটে। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে মুন্সীরহাট চাঁদনী মোড়ে একটি সভার আয়োজন করে বিজেপি। সাংসদ অর্জুন সিং, মাফুজা খাতুন, দেবজিৎ সরকার সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের এদিনের সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ দলের কর্মীরা যখন সভার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি সারছিল তখনই এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সভাস্থলে এসে কার্যত তান্ডব চালায়। অভিযোগ, কর্মীদের বিজেপি মারধর করার পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয় সভা মঞ্চ। এমনকি মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপি নেতা অশোক সিংহের অভিযোগ,”আজ আমাদের বড়ো সভা ছিল। সকাল থেকে সভার প্রস্তুতি চলছিল। হঠাৎই সকাল এগারোটা নাগাদ এলাকার তৃণমূল প্রধানের নেতৃত্বে এক-দেড়শ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এসে সভামঞ্চ ভেঙে দেয়। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।” এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে জগৎবল্লভপুর থানা সহ একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
মঙ্গলবার সকালে আবার ট্যাংরায় একচোট তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের খবর মিলেছে। বিজেপি নেতাকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ দিয়ে মারার পর, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। আক্রান্ত ওই নেতার নাম রাজু চৌধুরী, তিনি বেলেঘাটা দক্ষিণ মণ্ডলের সহ সভাপতি। বিজেপির দাবি, মারধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি চোখ।
তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। বিজেপি’র দাবী, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের আবার দাবী, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া ও স্থানীয় ক্লাবের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোমবার বিজেপির উপর হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দমদম। সেন্ট মেরিজ স্কুলের সামনে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ ছিল তৃণমূলের। অশান্তির জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল রাস্তা। বিজেপির অভিযোগ ছিল তাদের সমর্থকদের পথ আটকানো হয়েছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।