হুহু করে বাড়ছে নতুন স্ট্রেইনের করোনা। ৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আবার লকডাউনের পথে হাঁটছেন। সোমবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৬ সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউন থাকবে ব্রিটেন। বন্ধ থাকবে স্কুল কলেজও। বরিস জনসনের ভয়, এখনই লাগাম না টানতে পারলে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরেকবার ভেঙে যেতে পারে।
গতকাল, সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বরিস জনসন টিকাকরণ যুদ্ধে ব্রিটেনের অগ্রণী ভূমিকা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা কোভিডের সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে খুব ভালো লড়াই করেছি। কিন্তু এখন উদ্বেগ বাড়ছে আবার। জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে, জীবন বাঁচাতে আমাদের এই মুহূর্তে ঘরে থাকা উচিত।” বুধবার থেকে শুরু হবে এউ লকডাউন, চলবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের এপ্রি মাসের থেকেও খারাপ অবস্থা হাসপাতালগুলির। এই অবস্থায় তিনি কোভিড ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া ব্যবস্থাই নেওয়ার কথা বলেন। তিনিই জানান, এই মুহুর্তে নয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৭ হাজার জন হাসপাতালে রয়েছেন।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে বরিস জনসনকে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা লকডাউনর পরামর্শ দেন। স্কটল্যান্ড আগেভাগেই লকডাউন ঘোষণা করে দেন। বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যপরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বলেন, বিপদমাত্রা স্বাস্থ্য মানদণ্ডের নিরিখে ৫। অর্থাৎ অন্তত ২১ দিনের জন্য যুদ্ধকালীন সতর্কতা চাই। তারপরেই বরিস লকডাউন ঘোষণা করেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ব্যতীত কিছুই খোলা থাকবে না এই লকডাউনে।