করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল, সংক্রমণের হার এখনও নিয়ন্ত্রণেই আছে। দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৭ হাজারের কাছাকাছি। দৈনিক বৃদ্ধি কমেছে। সেই সঙ্গে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও কম।
দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা অক্টোবর থেকেই কমছিল। তিন লাখের নিচে নেমে গিয়েছিল। আজকের বুলেটিনে দেখা গেছে, করোনা অ্যাকটিভ রোগী আড়াই লাখের কম। অ্যাকটিভ কেসের হার ২.৩৬%।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এফেকটিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর তথা আর নম্বর ০.৯০ পয়েন্টেই স্থিতিশীল আছে। কিছুদিন আগেই আর-নম্বর কমে ০.৮৬ পয়েন্টে পৌঁছেছিল। এখন সেটাই কিছুটা বেড়ে ০.৯০ পয়েন্ট হয়েছে। আর-নম্বর কমে যাওয়া মানে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর-নম্বর একের নিচে থাকায় সংক্রমণের হার বিশেষ বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আশা করা হচ্ছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকায় ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা। মনে করা হচ্ছে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কও কমবে। শনিবারই দেশজুড়ে করোনা টিকার ড্রাই-রান হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, টিকাকরণ শুরু হলেও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যাকসিন-মন্ত্রই হল ‘দাওয়াই ভি অউর কড়াই ভি’। আইসিএমআর জানিয়েছে, ১৮ কোটির কাছাকাছি কোভিড টেস্ট হচ্ছে দেশে। গতকালই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সাত লাখের কাছাকাছি।