সাধারণের জন্য খুলল পুরীর মন্দির, দেখাতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট

সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল পুরীর মন্দিরের দরজা। তবে আরোপ করা হয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। রবিবার থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা, তবে সঙ্গে থাকতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। মুখ অবশ্যই থাকতে হবে মাস্ক।

পুরী মন্দিরের প্রধান কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন রবিবার থেকে প্রত্যেক ভক্তকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের ৯৬ ঘন্টা আগের রিপোর্টকেই মান্যতা দেওয়া হবে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা আরটি-পিসিআর টেস্ট, যে কোনও রিপোর্ট নিয়ে ঢুকলেই চলবে।

এরই সাথে জানানো হয়েছে এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। মন্দিরে প্রবেশের আগে হাত স্যানিটাইজ করা হবে। কোনও মূর্তি বা স্থাপত্যে হাত দিতে পারবেন না ভক্তরা। পুজো দেওয়ার জন্য ফুল বা মোমবাতি নিয়ে আসা যাবে না। মন্দির চত্বরে বসে মহাপ্রসাদ বা ভোগ খাওয়ার অনুমতি খারিজ করা হয়েছে।

ভক্তরা যাঁরা গাড়ি নিয়ে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখতে হবে জগন্নাথ বল্লভ মঠ চত্বরে। এছাড়াও জানানো হয়েছে ৬৫ বছরের ওপরের বয়সী, গর্ভবতী মহিলা, ১০ বছরের নীচে শিশুরা মন্দিরে আসতে পারবেন না এই করোনা পরিস্থিতির জন্য। সকাল ৮টা থেকে মন্দিরে প্রবেশের জন্য লাইন দেওয়া শুরু করতে হবে। দেখাতে হবে পরিচয় পত্র।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। ৩৪ বছর আগে মাত্র তিনটি ঘরের তালা খুলতে সক্ষম হয়েছিলেন কর্মকর্তারা। বাকি ঘরগুলিতে কী আছে, তা আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। শ্রীজগন্নাথের ‘ব্রহ্মবস্তু’র মতোই রত্নভাণ্ডারের রহস্য অধরাই রয়ে গিয়েছে। যে কক্ষগুলি খোলা সম্ভব হয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ রকমের মণিমুক্তো খচিত স্বর্ণ অলঙ্কার। যার মধ্যে আছে মুক্তো, প্রবালের মতো অত্যন্ত দামী পাথর। এছাড়া, ১৪৬ রকমের রৌপ্য অলঙ্কার। তবে, এই সবই ‘ভিতর রত্নভাণ্ডার’-এর কথা। ‘বাহার ভাণ্ডার’-এর চিত্র কিছুটা অন্যরকম।

এই মন্দিরটি ওড়িশা বা উড়িষ্যার পুরী পূর্ব সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত৷ এই মন্দিরটি একটি বিখ্যাত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বিশেষ করে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ উপাসকদের নিকট। এটি চারধামের অন্যতম যেখানে সকল ধার্মিক হিন্দুদের জীবনে অন্তত একবার যেতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.