এবার ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। শনিবারও তার অন্যথা হল না। এদিন মহিষদলের দ্বাড়িবেড়িয়ায় দলের সভা থেকে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন একদা তৃণমূলের এই ডাকসাইটে নেতা।
একইসঙ্গে নাম না করে আবারও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ‘‘এখন আপনারা আমায় ফোন করলেও ধরতে পারছি না। আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। ভাইপোর পুলিশ আমার ফোন ট্যাপ করছে। কিছু বলার থাকলে আপনারা আমায় হোয়াটসঅ্যাপ করে দেবেন। আমি দেখে নেব।’’
অমিত শাহের উপস্থিতিতে মেদিনীপুরে হাফডজন তৃণমূল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকেও বিজেপিতে যুক্ত করিয়েছেন। বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন তাঁর আর এক ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।
সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ দিব্যেন্দু। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, দিব্যেন্দুরও বিজেপি-যোগ এখন সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রবারই দলের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘৮ তারিখ নন্দীগ্রামে শক্তি দেখাব। এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে।’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৮ তারিখ নন্দীগ্রামের সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের আটকানো হলে আমি নিজে পৌঁছে যাব।’’
সভা মঞ্চ থেকে এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আরও জানান, প্রয়োজনে আগের মতো এবার বাইকে করে এলাকায়-এলাকায় ঢুকে যাবেন তিনি।