বাংলায় মোদী-অমিত শাহদের প্রচারের কৌশল যেন একটু একটু করে পরিষ্কার হচ্ছে।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বোলপুরে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর বোলপুর শহরে রোড শো করেন। আট দিন পর সেই বোলপুরেই পাল্টা রোড শো করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বার ফের বীরভূমে রোড শো করতে চলেছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, ৯ জানুয়ারি বীরভূমে মিছিল হবে নাড্ডার নেতৃত্বে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিজেপির কৌশলটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। কোনও একটা জায়গায় স্রেফ একবার রোড শো করা নয়। ভোটের দিক থেকে সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোতে বার বার বড় নেতাদের দিয়ে প্রচার করাতে চাইছেন তাঁরা। ধরে নেওয়া যেতে পারে, ভোটের আগে বীরভূমে এক বা একাধিক সভা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
অনেকের মতে, বাংলায় বিজেপির মুখের অভাব ছিল তা অনস্বীকার্য। কিন্তু এখন সেই খরা অনেকটা কেটেছে। একে তো জেলায় জেলায় দিলীপ ঘোষের সভাগুলিতে ভাল লোক হচ্ছে। দুই, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে। তাঁর সভা বা রোড শো হলে প্রায় সবকটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। রাজ্য রাজনীতিতে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বড় কথা হল, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সৌগত রায়ের মতো প্রবীণ তৃণমূল সাংসদরা।
বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রচারে তাঁদের বরং অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা গীত নেই। দিদি ছাড়া দলের আর কাউকে দেখতে ভিড় হয় না। কিন্তু বিজেপির সেই সমস্যা নেই। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, নরেন্দ্র মোদী এঁদের সকলের সভা বা রোড শো-তে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়ার আশা রয়েছে।