সর্বগ্রাসী দাবানলে বিপন্ন নাগাল্যান্ড ও মণিপুর। আগুনের লেলিহান শিখা কার্যত গিলে খেয়েছে দুই রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত জুকউ উপত্যকাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে এনডিআরএফ ও ভারতীয় বায়ুসেনা। এই ভয়ঙ্কর দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্ত ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের পাহাড় শ্রেণির মধ্যে অবস্থিত ‘সবুজ দ্বীপ’টি জুকউ উপত্যকা (Dzukou Valley) হিসেবে পরিচিত। গত মঙ্গলবার উপত্যকার নাগাল্যান্ড সীমান্তের দিকে এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। তারপর তা প্রচণ্ড আগ্রাসী রূপ নিয়ে মণিপুরের সেনাপতি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বায়ুসেনার চারটি এমআই-১৭ ভি হেলিকপ্টার লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। শনিবার কেন্দ্রের পাঠানো এনডিআরএফ টিম মণিপুর (Manipur) এসে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের দমকল বিভাগের ২০০ কর্মী দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগাতার লড়াই চালাচ্ছেন। শুক্রবার গোটা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই কথা জানান বীরেন সিং। তিনি লেখেন, “দ্রুত এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।”
জানা গিয়েছে, আগুনের লেলিহান শিখায় উপত্যকার সবুজের সমাহার কার্যত ছাই হয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত মনোরম এবং ট্রেকার ও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র এই অঞ্চলটির পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শীতের মরশুমে শুকনো আবহাওয়ার দরুণ দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এহেন পরিস্থিতিতেই কিছুটা স্বস্তির খবর শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানান, নাগাল্যান্ডের মন জেলার দিকে আগুনের গতি কিছুটা রুখে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেই অঞ্চলের জঙ্গল বাঁচানোর জন্য আরও সময় পাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের এই অঞ্চলে দাবানল নতুন কিছু নয়। কিন্তু আয়তন ও গতিতে এবার অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে ওই জঙ্গলের প্রচুর জন্তু ও বিরল গাছপালার কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।