‘অখণ্ড ভারত’-এর উপর আস্থা রাখার জন্য ভোটের ফলাফল বেরনোর আগের দিনই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। অমেঠীর দুর্গ জয় করে শুক্রবার সকালে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
তাঁর টুইটে স্মৃতি লেখেন, ‘‘অমেঠীর জন্য নতুন সকাল। আমার দল ও আমাদের নেতৃত্বের প্রতি ভরসা রাখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
২০১৪-তেও যা হয়নি, তা-ই হয়েছে। কার্যত উড়ে গিয়েছে অমেঠীর দুর্গ। যে অমেঠীতে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সনিয়া গান্ধী সাংসদ ছিলেন, যে অমেঠীতে রাহুল গাঁধী গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ, গান্ধী পরিবারের সেই দুর্ভেদ্য দুর্গেই রাহুলকে প্রায় ৫৬ হাজার ভোটে হারিয়ে দিলেন স্মৃতি। ঘরের মাঠেই রাহুলকে গোল দিতে বারবার স্মৃতিকে অমেঠীতে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। মাটি আঁকড়ে স্মৃতিও কম চেষ্টা করেননি। তাঁর দাবি, গত ৫ বছরে এমন এক দিনও যায়নি, যে দিন বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণাবর্ষণ হয়নি। স্মৃতির কথায়, আমজনতা যে প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখেছেন, তার জন্য তাঁরা গর্ব বোধ করছেন।
এর আগে মাত্র দু’বার কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছিল অমেঠী। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির কাছে, ১৯৯৮ সালে বিজেপির কাছে। তার পর থেকে মোটামুটি গান্ধী পরিবারের হাতেই থেকেছে অমেঠী। বিজেপির অভিযোগ, অমেঠীতে রাহুল কোনও কাজ করেননি। উল্টে অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার তাঁর কাজে বাধা দিয়েছে।
নিজের টুইটে স্মৃতির অঙ্গীকার, ‘‘আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করবো। বিরোধীদের কথায় না ভুলে, কোনও পদ-মোহ ছাড়াই দেশগঠনের কাজ করবো। দেশবাসীর কথা ভাববো।’’