আশা-হতাশা এবং করোনা সংকটের মাঝে এবার নতুন বছর উদযাপিত হয়েছে। ২০২১ সাল শুরু হয়েছে নাইট কার্ফু, করোনার নির্দেশিকা এবং প্রোটোকলের মধ্যে দিয়ে। নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ভারতও স্বাগত জানিয়েছে ২০২১ কে। তবে করোনার প্রোটোকলের কারণে লোকেরা তাদের বাড়ি বসেই নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ জায়গায় রয়েছে নাইট কারফিউ।
করোনার নির্দেশিকা এবং প্রোটোকল সত্ত্বেও, নতুন বছরের স্বাগতমে উত্সাহের অভাব ছিল না। দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় লোক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আতশবাজি দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে।
রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের বড় অফিসগুলিও আলোকমালায় সেজে উঠেছিল। দিল্লির নর্থ ও সাউথ ব্লককেও খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়।
অকল্যান্ডে নতুন বছর উদযাপন করতে স্কাই টাওয়ারে বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিল। ভারতীয় সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ অকল্যান্ডে রাত ১২ টা বাজে। সে সময় প্রচুর বাজি ফাটিয়ে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। টাওয়ার থেকে আকাশে আতশবাজি ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় সময় যখন সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টা তখন অস্ট্রেলিয়ায় বাজে ১২ টা। তাই সেখানেও নতুন বছর উদযাপন শুরু হয়। বিখ্যাত সিডনি হারবারে আতশবাজির রোশনাই দেখা যায়।
অন্যদিকে ঠিক যখন ভারতে ১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টা বাজবে, তখন আমেরিকায় শুরু হবে নিউ ইয়ার পালন। কারণ সে সময় সেখানে বাজবে রাত ১২ টা।
তবে নতুন বছর পালন ঘিরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল দেশের একাধিক শহরে। উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর নববর্ষ উদযাপন সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এক জায়গায় ১০০ জনের বেশি লোককে একত্রিত না করতে বলা হয়েছিল আগেই।
তামিলনাডুতে ক্লাব, রিসর্ট, রেস্তোঁরা এবং এমনকি সমুদ্র সৈকতেও নতুন বছরের উদযাপন নিষিদ্ধ করা ছিল। পঞ্জাব সরকার রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত একটি নাইট কারফিউ প্রয়োগ করে ১ জানুয়ারী পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই কারফিউ।
রাজস্থান সরকার ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৬ টা অবধি কারফিউ জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা রাজস্থানের সেই সব শহরগুলিতে প্রযোজ্য, যেখানকার জনসংখ্যা এক লক্ষের বেশি। ওড়িশার কটক এবং ভুবনেশ্বরে নতুন বছর উদযাপন সংক্রান্ত অনেকগুলি বিধিনিষেধ ছিল। পাব, হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলিতে পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়।