এই নির্বাচনে ভারতে দুটি পৃথক ধারণার লড়াই হয়েছে। এক পক্ষ ভারতের প্রাচীন অধ্যাত্ম ভিত্তিক একাত্ম(Integral), সর্বাঙ্গীণ (Hollistic) এবং সর্বসমাবেশক(All Inclusive) জীবনদৃষ্টিকে অনুসরণ করে। এটা হিন্দু জীবনদৃষ্টি ভিত্তিক, গোটা পৃথিবী যাকে হিন্দু চিন্তন নামে জানে।
এই নির্বাচনে দ্বিতীয় ধারণাটি ছিল অভারতীয়। এটা ভারতকে অনেকগুলো পরিচয়ে(Identities) ভাগ করে দেখতে চেয়েছিল। এরা নিজেদের নিহিত স্বার্থের জন্য সমাজকে জাতি, ভাষা, প্রদেশ আর উপাসনাপন্থ(Religion)-এর নামে ভাগ করার কাজ করছিল। এই বর্জন এবং বিভাজনের রাজনীতি করার লোকেরা প্রায়শঃই সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত ও অখণ্ড দৃষ্টিতে দেখার শক্তিগুলোর বিরোধিতা করে। তারা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ ঐক্যকামী শক্তির উপরে চাপিয়ে দিয়ে এদের সম্পর্কে সমাজে ভুল ধারণা গড়ে তুলতে চায়।
স্বতন্ত্রতার সঙ্গে সঙ্গে চলে আসা এই বিচারিক লড়াই এখন এক নির্ণায়ক মুহূর্তে এস উপস্থিত হয়েছে। এই নির্বাচন এই লড়াইয়ের এক বিশেষ অবস্থা ছিল। সমাজকে এখন এক হতে হবে। এর ফলে বিভাজনের রাজনীতির কুশীলবেরা ভূমিসাৎ হয়ে যাবে। এইজন্য সব বিভাজনকামী শক্তি একজোট হয়ে, একে অন্যের সঙ্গ দিয়ে, এই ঐক্যকামী শক্তির সঙ্গে লড়ার চেষ্টা করেছিল।
ভারতের বুদ্ধিমান জনতা ঐক্যপন্তী জোটকে সমর্থন করে সর্বসমাবেশক ভারত বানানোকে সমর্থন করে সবার বিকাশের নীতিকে বিজয়ী করেছে। এটা ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত আশ্বাসজনক ও আনন্দের দিন। ভারতের জনগণ এর জন্য অভিনন্দনের যোগ্য। এই নীতির লড়াইয়ে ভারতের পক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য নিয়োজিত নেতৃত্ব ও সমস্ত কার্যকর্তাকে হার্দিক অভিনন্দন জানাই
ডা. মনমোহন বৈদ্য, সহ-সরকার্যবাহ, আরএসএস