নতুন বছরের সূচনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২ জানুয়ারি থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই-রান শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এখন অবধি দেশের ৪ টি রাজ্যে এমন ড্রাই রান শুরু করা হয়েছিল। এই চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পঞ্জাব, অসম, গুজরাত, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এখন অবধি রিপোর্ট মোতাবকে এই চার রাজ্যে ড্রাই রানের রিপোর্ট ভালো। এরপরেই সমগ্র দেশে ড্রাই রানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র।
কী করা হয় এই ড্রাই রানে?
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে তাদের দুটি শহর ড্রাই রান চালানোর জন্য চিহ্নিত করতে হবে। এই দুটি শহরে পুরো কাজ হবে এমন করে যেন ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ শহরে ভ্যাকসিন পৌঁছানো, হাসপাতালে সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া, লোকদের ডেকে আনা, তারপরে ডোজ দেওয়া – সব কাজই অনুসরণ করা হবে।
এছাড়াও কেন্দ্র করোন ভ্যাকসিন সম্পর্কে যে কোভিন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে তারও ট্রায়াল চালানো হবে। ড্রাই রান চলাকালীন যাদের টিকা দেওয়ার দরকার তাঁদের সএমএস পাঠানো হবে। এরপরে, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেওয়ার কাজ করবেন।
চলতি সপ্তাহের সোমবার দেশের চার রাজ্যে শুরু হয় করোনার মাস ভ্যাকসিনেশন। শুরু হয় অসম, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পঞ্জাবে। পঞ্জাবের লুধিয়ানা ও শহিদ ভগত সিং নগরে চলে ড্রাই রান। গুজরাতের আহমেদাবাদেও চলে করোনার ভ্যাকসিনের ড্রাই রান।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন, ভ্যাকসিন প্রস্তুতি একদম শেষ পর্যায়ে। মোদী বলেন যব তক দাওয়াই নেহি, তব তক ঢিলাই নেহি। অর্থাৎ যতক্ষণ না পর্যন্ত ভ্যাকসিন বেরোচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কড়া বিধি নিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। এমনকী ভ্যাকসিন পাওয়ার পরেও এই করোনা বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন মানুষ। কিন্তু তারপরেও চলবে করোনা বিধি মেনে চলার পালা।