আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের সমর্থন পেল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াবার বার্তা দিল রাশিয়া। বুধবার পুতিন এক বার্তায় জানান, নতুন বছরে ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করেন তিনি। মস্কো ও দিল্লি একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহমত হয়ে একযোগে কাজ করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন পুতিন।
এদিন পুতিন ভারতের উদ্দেশ্যে বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা পাঠান। কৌশলগত দিক থেকে ও কূটনৈতিক পদক্ষেপে ভারতের পাশে রাশিয়া থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। তিনি বলেন ২০২০ সালে রাশিয়া ও ভারত এই দুই দেশই প্রচুর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত এই দুই দেশ নতুন করে ২০২১ সালে শুরু করবে বলে আশা করেন পুতিন। তবে করোনা পরিস্থিতিতেও নয়াদিল্লি ও মস্কোর সম্পর্ক অটুট ছিল, যা সদর্থক বলে মন্তব্য পুতিনের।
এরআগেও একাধিকবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া ও ভারতের এই সুসম্পর্কে বেশ চাপে বেজিং। সীমান্তে চিনের অনধিকার প্রবেশ নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হওয়ার পরে রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছিল। অক্টোবর মাসেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, চলতি বছরের শেষেই ১১০টিরও বেশি ফাইটার জেটের অর্ডার দেবে ভারত। জানা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায় ফাইটার জেটের সংখ্যা ক্রমশ কমে এসেছে। তাই রাশিয়া থেকে ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেটের বরাত দেবে ভারত।
দ্যা প্রিন্ট জানায় ২১টি মিগ ২৯ আনানো হবে। সূত্রের খবর ১৯৮০ সালে এই মিগ বিমানগুলির কাঠামো তৈরি হয়েছিল, কিন্তু কখনও ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো পুরোনো হলেও, এর যন্ত্রপাতি অত্যাধুনিক হবে বলে জানা গিয়েছে।মিগ ছাড়াও ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই আনানো হবে বলে খবর। আনানো হতে পারে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ।
বাদোরিয়া জানান, ভারত চিন সীমান্ত সংঘাতের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেখানে এয়ারস্ট্রাইক চালাবে বায়ুসেনা। তবে বায়ুসেনা তৈরি যে কোনও সময় এয়ার স্টাইকের জন্য। তিনি বলেন সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাব ও দখলদারির স্বভাব ভারত সুনিপুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছে। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার কড়া নজরদারিতে এগোতে সাহস পায়নি চিন।