করোনা ভ্যাকসিন হাতে আসবে নতুন বছরের প্রথম পর্যায়েই। ভ্যাকসিন প্রস্তুতি একদম শেষ পর্যায়ে। দেশবাসীকে এমনই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবারই তিনটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা জরুরি অবস্থার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি জন্য আবেদন করেছে। গুজরাতের রাজকোটে এইমসের এক অনুষ্ঠানে সেই তথ্যকে তুলে ধরে মোদী বলেন ভারতে তৈরি দেশীয় ভ্যাকসিন পাবেন সাধারণ মানুষ। এই আতঙ্ক কাটবে।
মোদী বলেন যব তক দাওয়াই নেহি, তব তক ঢিলাই নেহি। অর্থাৎ যতক্ষণ না পর্যন্ত ভ্যাকসিন বেরোচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কড়া বিধি নিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। এমনকী ভ্যাকসিন পাওয়ার পরেও এই করোনা বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন মানুষ। কিন্তু তারপরেও চলবে করোনা বিধি মেনে চলার পালা।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি বা এসইসি বুধবার এক বৈঠকের আয়োজন করে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সব দিক বিবেচনা করার পরেই ভারতে কোনও একটি ভ্যাকসিনকে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে ভারতে জরুরি অবস্থার জন্য ভ্যাকসিন হিসেবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, পিফিজার, ভারত বায়োটেকের আর্জি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার পরে এই বৈঠক বসে। এসইসি জানিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসনিকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আরও তথ্য ও ডেটা প্রয়োজন। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি সেরাম ও ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। তথ্য পাঠাচ্ছে পিফিজার ইন্ডিয়াও। পয়লা জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে কমিটি।
এরই মাঝে ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা MHRA-এর প্রস্তাব অনুযায়ী, বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে , বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্রিটেনে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সামনে আনা হবে। নতুন বছর থেকে পুরোদমে টিকাকরণের কাজ চলবে। আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে কিছুদিন পর থেকে কোটি কোটি ডোজ সরবরাহ করা যাবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল গভের মতে, ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেশের কঠোর লকডাউনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।