ব্রিটেনে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। যা নিয়ে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন স্ট্রেন উঠে আসায় ব্যাপক হারে চিন্তা বেড়েছে ব্রিটেনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত নতুন স্ট্রেনের জেরেই এই দেশ করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন আগের ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তবে শুধু ব্রিটেন না বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলছে এই আরও সংক্রামক করোনার স্ট্রেন। করোনা ভাইরাসের নতুন যে রূপ সেগুলিকেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় স্ট্রেন বলা হচ্ছে। এই স্ট্রেন ঘিরে সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ ট্র্যাফিক বন্ধ করে দিচ্ছে। কোথাও আবার লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এদিকে, ভারত ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকবে। তবে কিছু রুটে পূর্ব ঘোষিত বিমান চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। বুধবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্রিটেন ভারত বিমান চলাচল ২০২১ সালের ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তবে বিশেষ কিছু বিমান বন্দে ভারত মিশনের আওতায় থেকে যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ। এক সার্কুলার জারি করে ডিজিসিএ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান আপাতত বন্ধ রাখা হবে। কেন্দ্র দ্বারা নির্দিষ্ট কিছু রুটে বিমান চলাচল হবে। বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিসিএ। জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকা কার্গো অপারেশনেও বলবৎ থাকবে। ভারতে আসা ও যাওয়া আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে নির্দেশ বলবৎ করার কথা বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের জেরে ভারতে গত ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। তবে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে বারবার বাড়াতে হচ্ছে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ। এরই মাঝে এয়ার ইন্ডিয়া ট্যুইট করে জানায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৮০টি বিমান চালানো হবে।
বন্দে ভারত মিশনের আওতাধীন এই উড়ানগুলি চালু করা হয় ২২শে জুলাই থেকে। টিকিট বুকিং শুরু হয় ২০শে জুলাই থেকে। অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্ট বা ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুক করা যাচ্ছে। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে এয়ার বাবলের মাধ্যমে বিমান পরিষেবা চালু করছে ভারত বলে জানানো হয়।