শেষ ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ২০ হাজার ৫৫০ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের।
নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৫৩ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬২ হাজার ২৭২ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৩৯ জনের।
দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪১ জন। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৬ হাজার ৫৭২ জন।
অন্যদিকে দেশে ফের মিলেছে করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ। আরও ১৪ জনের দেহে করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ৬ জনের দেহে মিলেছিল করোনার এই নয়া রূপের ভাইরাসের খোঁজ। ফলে পরপর দু’দিনে দেশে মোট এই নতুন স্ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ তে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংখ্যা যদি ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে, তবে তা রীতিমতো বিপজ্জনক।
জানা গিয়েছে, নতুন আক্রান্ত হওয়া ১৪ জনই ব্রিটেন থেকে ফিরেছেন। তাঁদের দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন স্ট্রেনের তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছে নয়াদিল্লি। মোট ২০ টির মধ্যে দিল্লিতে নতুন স্ট্রেনের ৮ টি কেসের হদিশ মিলেছে। বেঙ্গালুরুতে ৭ টি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসের প্রোটিনে বারবার পরিবর্তন হতে হতে এই চেহারা নিয়েছে। প্রাথমিক গবেষণা বলছে, পুরনো ভাইরাসের থেকে নতুন স্ট্রেন আরও দ্রুত কারও শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই মিউটেশনকে N501Y বলে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। তবে সত্যিই এই স্ট্রেন আরও বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কিনা, তা পরীক্ষিত নয়।
তবে ব্রিটেনে যে নতুন করোনার স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে সেটা ভয়ঙ্কর। আগের থেকে ৭১ শতাংশ বেশি সংক্রামক। তবে তার উপসর্গ তেমন ভয়ঙ্কর নয়। এমনই দাবি করেছেন সিসিএমবির ডিরেক্টর ডঃ রাকেশ মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, করোনা যে নতুন স্ট্রেন দেখা দিয়েছে সেটার উপর সমানভাবেই সক্রিয় হবে করোনা ভ্যাকসিন।