গোটা দেশে বিরোধীদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে অভূতপূর্ব জয়ের পর দিল্লির সদর দফতরে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে রাজ্য সদর দফতরে বসে সেই কাজটা করলেন বিজেপির রাজ্যে অভূতপূর্ব ফলাফলের অন্যতম কারিগর, গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতা মুকুল রায়।

এদিন শুরুতেই মুকুল জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূলের নৈতিক অধিকার নেই, এভাবে মানুষের সমর্থন হারানোর পরেও বাংলায় থাকার৷ তারা জোচ্চুরি, সন্ত্রাস করেছে৷’ মুকুলের সাফ কথা, ‘এরপর মমতার আর একদিনও নবান্নের কুর্সিতে থাকা উচিত নয়। হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত।’ মুকুলের মতে এবারের ভোটে আসলে ‘বাংলার মানুষ বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই হয়েছে৷’ কেন? তার একাধিক কারণ দর্শান মুকুল রায়। বলেন, ‘বছরের পর বছর বাংলায় কোনও শিল্প হয়নি৷ চাকরি নেই। শিক্ষাক্ষেত্রের অবস্থা কহতব্য নয়।’ আর এসব ক্ষেত্রেই এবার কাজ করবে বিজেপির সাংসদেরা।

মুকুল জানান, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার দিকে এগোচ্ছে। বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলার মানুষের ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে ইতিমধ্যেই একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে৷’ মুকুল এইসঙ্গে মনে করান, ভারতে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছি বিজেপি। বাংলায় যে সাফল্য দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তা পেতে কিন্তু অসংখ্য বলিদান দিতে হয়েছে। মুকুল রায় বলেন, ‘আমাদের শতাধিক কর্মী নিহত হয়েছে৷ আনন্দের কথা হল, বাংলার মানুষ নিশ্চিত করেছে যে বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে হবে।’

সব শেষে এদিন রাজ্যের মানুষকে জয় উৎসর্গ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বলেন, ‘আমরা চাই বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক৷ বিজেপির এই জয়কে উৎসর্গ করছি বাংলার জনগণকে৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.