নন্দীগ্রাম তাঁর চেনা জমি। আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক জল অন্যদিকে গড়ালেও নন্দীগ্রামকে তিনি সবার আগে রাখবেন। তাই বিজেপিতে পা দেওয়ার পর ফের নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার স্থানীয় বরজং কমিটির আমন্ত্রণে পুজোয় অংশ নেবেন তিনি।
মেদিনীপুরে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন সদ্য। তারপর থেকে একের পর এক বিজেপির সমাবেশ করে চলেছেন। ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভাও রয়েছে শুভেন্দুর। মনে করা হয়েছিল বিজেপি নেতা হিসেবে তিনি সে দিনই প্রথমবার পা রাখবেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার যাচ্ছেন। যদিও এদিন কোনও সভা নেই তাঁর। মঙ্গলবার শুভেন্দুকে স্বাগত জানাতে বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে নন্দীগ্রাম বজরং কমিটি। একটি শোভাযাত্রাও করা হবে।
এই বজরং কমিটির দাবি, মঙ্গলবার কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ শোভাযাত্রায় শামিল হবেন। নন্দীগ্রাম বাজারের হনুমান মন্দিরে অনেক দিন ধরেই বজরংবলীর পুজো হয়ে আসছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে এই পুজোর আড়ম্বর বাড়ে। এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা পবিত্র কর আবার স্থানীয় বয়াল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। গত নভেম্বরেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। পবিত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুভেন্দু নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে আসবেন। এর পর সেখান থেকে কীর্তন সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়া হবে নন্দীগ্রাম বাজারের হনুমান মন্দিরে। এর পর মন্দির সংলগ্ন জায়গায় হবে নরনারায়ণ সেবা।
দিন কয়েক আগে কাঁথিতে বিজেপি-র জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় অবস্থিত শহিদ বেদি তিনি নিজে হাতে তৈরি করেছেন। এ কারণেই ৭ জানুয়ারি সকালে শহীদ বেদিতে মালা দিতে যাবেন শুভেন্দু। প্রতি বছরই তিনি যান। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। শুভেন্দু এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে। তাই ওইদিন সেখানে তৃণমূলও উপস্থিত থাকবে। কার্যত বিজেপি বনাম তৃণমূলকে দেখা যাবে নন্দীগ্রামে।