করোনার জেরে ফের সামনে এল নয়া সমস্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন করোনার জেরে দুর্বল হচ্ছে ফুসফুস। এই রোগের নাম নিউমোথোরাক্স। এর অর্থ ফুসফুসের একটি গর্ত। এই নতুন সমস্যা সামনে আসায় চিন্তায় ভারতীয় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা। আশঙ্কার ব্যাপার হল এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার কোনও নির্দিষ্ট চিকিত্সা খুঁজে পাওয়া যায়নি। জেনে নেওয়া যাক আসলে কী এই নিউমোথোরাক্স? এবং এটি কীভাবে আমাদের ফুসফুসকে প্রভাবিত করে?
করোনা ভাইরাসের জেরে ফুসফুসে ফাইব্রোসিস হয়। যখন এই ফাইব্রোসিসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন নিউমোথোরাক্স অর্থাৎ ফুসফুসে গর্তের সমস্যা দেখা যায়। একটি রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি গুজরাতে নিউমোথোরাক্সে আক্রান্ত রোগীদের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে এই আক্রান্ত ব্যক্তিরা ৩-৪ মাস আগে করোনা থেকে সেরে উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের ফুসফুসে ফাইব্রোসিস রয়েই গিয়েছিল। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পর তীব্র বুকে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধার কারণে ওই রোগীরা একটি বেসরকারী হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা বলেন, তাঁদের নিউমোথোরাক্স শুরু হয়ে গিয়েছে।
নিউমোথোরাক্সে ফুসফুসের বাইরের প্রাচীর এবং অভ্যন্তরীণ স্তরগুলি এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সেগুলির নিরাময়ের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে ফুসফুসে গর্ত হওয়া খুবই সহজ হয়ে ওঠে। নিউমোথোরাক্স রোগীদের বুকে তীব্র ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা যায়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসকে কভার করা দুই স্তরের মাঝে যখন প্রায়শই বায়ু ভরে যায় বা এই অংশে আঘাত লাগে তখন এমন নিউমোথোরাক্স-এর সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভেন্টিলেটারে যাওয়া করোনা রোগীদের উচ্চ চাপযুক্ত অক্সিজেন দেওয়া হয়। সম্ভবত সেই কারণের জেরেই তাদের এই সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া যদি কখনও আপনার বুকে আঘাত লাগে তবে আপনি নিউমোথোরাক্সের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্থ ফুসফুসের কোষের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।