দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ২০ হাজার ২১ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। একই সঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ২১ হাজার ১৩১ জন।
নয়া সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভিত্তিতে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৭১ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০১ জন। মোট সেরে উঠেছেন ৯৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৬৯ জন।
অন্যদিকে এখন অবধি দেশে করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০১ জনের। শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের।
অন্যদিকে সোমবার থেকে দেশের চার রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনার মাস ভ্যাকসিনেশন। নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক তৎপরতা শুরু অসম, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পঞ্জাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চার রাজ্যের দু’টি জেলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক কর্মসূচী চালানো হবে।
পঞ্জাবের লুধিয়ানা ও শহিদ ভগত সিং নগরে চলবে ড্রাই রান। গুজরাতের আহমেদাবাদেও চলবে করোনার ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা যুদ্ধের সামনের সারির সৈনিকরা এই ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রথম দাবিদার। স্বাস্থ্যকর্মীরদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের ড্রাই রানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চার রাজ্যের জেলা হাসপাতাল, শহরাঞ্চল, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কোভিড-ভ্যাকসিনের ড্রাই রান চালানো হবে। করোনা ভ্যাকসিনের বন্টন প্রক্রিয়া, সংরক্ষণ থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
সোমবার ও মঙ্গলবার চলবে এই কর্মসূচি। করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচী মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য হিমঘর ও বন্টনের জন্য পরিবহণের কী ব্যবস্থা রয়েছে তা চার রাজ্যেই খতিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিক ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে তাঁরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।