ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) নতুন স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই ইউরোপের আটটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ‘বহুরূপী’ কোভিড-১৯। শুক্রবার রাতে করা এক টুইটে একথা জানিয়েছেন ‘হু’-র (WHO) ইউরোপ শাখার প্রধান হান্স ক্লুজ। সেই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তাও জানিয়েছেন তিনি।
হান্সের দাবি, নতুন এই স্ট্রেন কমবয়সিদের মধ্যে আগেরটির তুলনায় আরও বেশি ছড়াচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে। এই মুহূর্তে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন বলেই জানান তিনি। তাই মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো কোভিড বিধিগুলির প্রয়োজনীয়তা সকলের কাছে তুলে ধরেন হান্স। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, ‘WHO’ পুরো বিষয়টির দিকেই নজর রেখেছে। এবং প্রয়োজনমতো আপডেটও দেবে তারা।
কিছুদিন আগেই করোনার এই নতুন রূপটি ধরা পড়েছিল ব্রিটেনে (UK)। তারপর থেকে ক্রমেই বেড়েছে আতঙ্ক। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্রিসমাসের আগেই দেশের একাংশে ফের লকডাউনের ঘোষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিনের চেনা সার্স-কোভ-২’র চেয়ে করোনার এই নতুন স্ট্রেন আরও তাড়াতাড়ি ছড়ায়। এই পরিস্থিতিতে বহু দেশই নতুন করে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রেখেছে।
এদিকে ব্রিটেনের স্ট্রেনটির চেয়েও কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক ভাইরাস প্রজাতির সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa)। এই নতুন প্রজাতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সম্ভবত আরও বড় দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নয়া রূপ ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। গত একদিনে সেখানে নতুন ১৪ হাজার আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মারা গিয়েছেন চারশোরও বেশি মানুষ। অতিমারী শুরুর পর থেকে এর আগে কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন প্রকোপ দেখা যায়নি ভাইরাসের। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিনের আশার আলোর মাঝেই করোনার নয়া স্ট্রেনকে ঘিরে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।