কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি অফিসের সামনে ধুন্ধুমার৷ সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা৷ পাল্টা বিজেপি কর্মীরা সাংসদের গাড়ি বের করে আনার চেষ্টা করেন৷ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দু’ পক্ষের মধ্যে পুলিশের সামনেই হাতাহাতি শুরু হয়৷
এ দিনই হেস্টিংস-এ বিজেপি-তে যোগদানকারী নতুন নেতাদের নিয়ে কলকাতা হেস্টিংস-এর বিজেপি অফিসে বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ সেখানে হাজির থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারীরও৷ কিন্তু এ দিন হেস্টিংস-এ বিজেপি অফিসের অদূরেই পথসভার জন্য মঞ্চ তৈরি করে তৃণমূল৷ সেখানে জড়ো হন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকরা৷
এ দিন সকালে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সাংসদ সুনীল মণ্ডল হেস্টিংস-এ পৌঁছন৷ তাঁর গাড়ি বিজেপি অফিসের কাছে যেতেই পথ আটকান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা৷ রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাংসদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়৷ এই ঘটনা দেখে এগিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা৷ দু’ পক্ষে শুরু হয় হাতাহাতি৷ কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ৷ দু’ পক্ষকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশবাহিনী৷
পুলিশের সাহায্যে কোনওক্রমে সাংসদকে বের করে নিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা৷ কার্যত চ্যাংদোলা করে সাংসদকে বিজেপি অফিসের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এই ঘটনার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতারা৷ তৃণমূল ভয় পেয়েই এমন করছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়৷ পাল্টা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সুনীল মণ্ডল দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করাতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ তাঁর আরও প্রশ্ন, বিজেপি-তে যাওয়ার আগে কেন সাংসদ পদ ছাড়লেন না সুনীল কুমার মণ্ডল?
এ দিন সকাল থেকেই হেস্টিংসে বিজেপি অফিসের সামনে সভার আয়োজন করে তৃণমূল৷ বাজানো হয় গান৷ যার জেরে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা ছিলই৷ তার পরেও পুলিশ কেন আগাম সতর্ক হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷