শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক দুর্নীতি, শিক্ষাব্যবস্থায় তোষণ, রাজ্যজুড়ে অগণতান্ত্রিক অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রবিবার গ্রামীণ হাওড়ার ফুলেশ্বর স্টেশন থেকে উলুবেড়িয়া লকগেট অব্ধি একটি মিছিলের আয়োজন করে উলুবেড়িয়া নগর এবিভিপি ইউনিট। মিছিলে পা মেলান জনা পঞ্চাশেক এবিভিপি সমর্থকরা।
মিছিলের শেষে লকগেট চত্বরে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের হাওড়া জেলার সহ প্রমুখ অধ্যাপক তরুণ কুমার সামন্ত, উলুবেড়িয়া নগর ইউনিটের সভাপতি শিক্ষক শান্তনু মন্ডল সহ অন্যান্যরা। উলুবেড়িয়া নগর এবিভিপি ইউনিটের তরফে দেবাশিস খাঁ বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি চরমে উঠেছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তোষণ নীতি। পাশাপাশি, বাংলায় কর্মসংস্থান বলে আর কিছু নেই। এই সমস্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই আমাদের এই কর্মসূচি।’
আবার উত্তরপ্রদেশে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ঘটে যায় এক বিতর্কিত ঘটনা। সৌজন্যে এবিভিপিই। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায় একটি মন্দিরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে গেরুয়া উত্তরীয়ধারী কয়েক জন যুবক। বাকবিতণ্ডা চালাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে। দিচ্ছে তাঁদের স্লোগান। উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বড়ৌতের একটি কলেজের ভিতরের ছিল এই ভিডিয়ো। যা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মাধ্যমে। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের যুবকদের দাবি ছিল, মন্দির থেকে জৈন দেবীর মূর্তি সরাতে হবে। বসাতে হবে ‘হিন্দু দেবী’ সরস্বতীর মূর্তি।
গত মঙ্গলবারের ছিল ওই ঘটনা। এরজন্য ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ক্ষমা চাইতে হয় এবিভিপিকে। সেখানকার সংগঠন জানায় তারা , ঠিক তথ্য না-থাকার ফলেই ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের নেতাদের অজানতেই তা ঘটেছে। এবিভিপি এই ঘটনা সমর্থন করে না। সমাজমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এবিভিপি বলে, ‘মূর্তি নিয়ে যা হয়েছে, তার জন্য দিগম্বর জৈন সম্প্রদায়ের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। ক্যাম্পাস হল শিক্ষার মন্দির। সব ধর্মগ্রন্থ ও প্রথার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বাগপতের কয়েক জন কর্মী যা করেছে, তার জন্য সমগ্র সমাজের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’