বড়দিনের উৎসবে শামিল শিলিগুড়ি, রঙিন আলোয় সেজেছে শহর

রাত পোহালেই বড় দিন। আরও একটা উৎসবের মরশুমের শুরু। পুরনোকে বিদায়ের পাশাপাশি নতুন ইংরেজি বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব। তার আগে আজ রঙিন আলোকমালায় সেজে উঠল শহর শিলিগুড়ি।

শহরের হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বিধান রোডে উৎসবের মেজাজ। চকোলেট হাতে শহরের রাস্তায় হাজির সান্তা ক্লজ! এদিন মহাত্মা গান্ধি মোড়ে সন্ধ্যেয় স্যুইচ অন করে আলোকমালার সূচনা করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মহানন্দা সেতু থেকে উড়ালপুল ক্রিসমাস উৎসবে নতুন রূপে। লাল, নীল, সবুজ, গোলাপী আলোয় আজ রঙিন।

নতুন ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত গোটা শহরই আলোয় আলোকিত হয়ে থাকবে। কোভিড বিধির মধ্য দিয়ে ক্রিসমাস উৎসব পালনে শামিল শহরবাসী। মহাত্মা গান্ধি মোড়কে যেন চেনাই যাচ্ছে না। এখানেই উৎসবের মূল কেন্দ্র করা হয়েছে। এই সময়ে পর্যটকদের ঢল নামে পাহাড়ে। শিলিগুড়িতে আসা যাওয়ার পথে উৎসবের আলোর ছোঁয়ায় আজ তারাও অভিভূত। যেভাবে কলকাতার পার্কস্ট্রিট সাজিয়ে তোলা হয়, অনেকটা সেই আদলেই শহর শিলিগুড়িও শামিল বড় দিনের উৎসবে।

শহরের গির্জাগুলিও সেজে উঠেছে। দিনভর চলে ব্যস্ততা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ব্যস্ততা। তবে বহু গির্জাতেই এবারে উপচে পড়া ভিড়ের রাশ টানতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। কোভিড প্রোটোকল মেনে ভিড় এড়িয়ে চলার পথেই হাঁটছে প্রধাননগরের একটি বড় চার্চ। মূলত এখানেই ভিড় জমান বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। দূরত্ব বিধি মানার জন্যে এবারে চার্চের ভেতর চেয়ার বসানো হয়েছে। প্রার্থনার সময়েও কম ভিড় হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সেইসঙ্গে মাস্ক মাস্ট। মাস্ক ছাড়া কাউকেই চার্চে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তারা। আর চার্চের ভেতরে ঢুকতে হলে হাত স্যানিটাইজ করতেই হবে। তবু উৎসব বলে কথা! আনন্দে মেতে ওঠার দিন। একইরকমভাবে সেজে উঠেছে পাহাড়ও! শৈলশহরের ম্যালে রঙীন আলোর ছটা! শুরু হয়ে গিয়েছে গান, বাজনা। কনকনে ঠান্ডাতেও বড় দিনের উৎসবে নিজেদের ভাসাতে সামিল পর্যটকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.