করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ আগামী বছরের জুনে হবে পরীক্ষা৷ বুধবার একথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যয়া৷ করোনা আবহে আপাতত খুলছে না স্কুল।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,করোনা আবহে আপাতত খুলছে না স্কুল৷ তাছাড়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ এ জুন-জুলাইয়ে দুটি পরীক্ষাই হবে৷ পরীক্ষা সূচি পরে ঘোষণা করবে সংসদ এবং পর্ষদ৷
কিছুদিন আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা নিতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব পাঠায়৷ ওই প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যয়৷ এছাড়া আগেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের ভার কমিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য৷
গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন,করোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে না৷ তারফলে টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই এবার সবাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়ুয়ারা বসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি বুধবার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের নোটিস জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ১৬ হাজার ৫০০টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের শূন্যপদে নিয়োগের ব্যাপারে তৎপরতা নেওয়ার কথা গত ১১ নভেম্বর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ১৬,৫০০টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
এরই পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০-১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ প্যানেল তৈরির কাজ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ জানুয়ারি অফলাইনে তৃতীয় টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই দিন রাজ্যজুড়ে আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
একইভাবে ১০,১৬৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজেদের জেলায় বদলি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬,৪৬৬ জন শিক্ষককে নিজের জেলায় বদলি করা হয়েছে। ৫৫০২ জন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিজেদের জেলায় বদলি চেয়েছিলেন।
৩,৮৫২ জনের বদলির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। মিউচুয়ালি ভাবেও উচ্চমাধ্যমিকস্তরের ৪৫৯৪ জন শিক্ষক নিজেদের জেলায় বদলি চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও ৪৪৯০টি আবেদন গৃহীত হয়েছে।