বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে চিরবিদায় মঙ্গলবারই নেন পরিচালক, অভিনেতা তথা প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী জগন্নাথ গুহ (Jagannath Guha)। আর তারপরই আলিপুরের নামী হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুললেন একাধিক অভিনেতা এবং প্রয়াত পরিচালকের পরিবারের লোকেরা।
এদিন জগন্নাথ গুহর প্রয়াণের খবর সামনে আসার পরই একটি পোস্ট করেন অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ওই হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। জানান, সোমবার বিকেল ৪.১০ নাগাদ ডায়ালিসিসের জন্য ওই নামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ গুহকে। সাড়ে পাঁচটায় তিনি বাড়ির খাবার খান। ৫টায় ডায়ালিসিস শুরু হয়। আধ ঘণ্টা পর দেখা যায় তাঁর চ্যানেল থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তা আবার নজরে পড়ে পাশের এক রোগীর। তাঁরই চিৎকারে পরিচালকরে ICCU-তে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ভরতি ফর্ম ভরতে বলা হয় হাসপাতালের তরফে। তার জন্য ৫০ হাজার টাকাও নেয় তারা। কিন্তু এদিন ডেথ সার্টিফিকেটে দেখা যায় জগন্নাথ বাবু প্রয়াত হয়েছেন সোমবার সন্ধে ৭.৪৫ মিনিটে।
তাঁর গাড়ির চালক গোটা রাত হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে কিছুই বলা হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ছ’টায় জানতে পারেন তিনি চিরঘুমে চলে গিয়েছেন। তারপরই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কেন গতকাল রাতে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হল? তবে কি সঠিক চিকিৎসাই হয়নি তাঁর? এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হলে তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা যায়।
এদিন ফেসবুক লাইভে এসে অভিনেতা দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, সদুত্তর দিতে না পারায় পরে ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়েও দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর ঠিক এখানেই তাঁর প্রশ্ন, চিকিৎসায় গাফিলতি না থাকলে হাসপাতাল কেন টাকা ফেরত দিচ্ছে? এখানেই থামেননি তিনি, একে ‘একপ্রকার খুন’ বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেন, “একটা মানুষকে এভাবে হারিয়ে ফেললাম আমরা। এর দায় কে নেবে? আর কীভাবে সাহস করে হাসপাতালে প্রিয়জনকে ভরতি করবেন?” পরিচালক চলে গেলেন। আর পিছনে ফেলে গেলেন অনেক প্রশ্ন। যদিও এ নিয়ে হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।