এখনও পর্যন্ত করোনায় মারণ হয়ে উঠতে পারেনি এই দেশে। বলা চলে সাফল্যের সঙ্গেই করোনার সঙ্গে লড়াই করছে ভুটান। তবে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করল এই দেশ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে জানানো হয়েছে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হবে। প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে সব স্কুল কলেজ, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
ভুটান থেকে যেমন কাউকে বিদেশে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তেমনই বিদেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে ভ্রমণার্থীদের আসাও বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র অত্যবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবারই এক মহিলা নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে। ফের করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বুধবার থেকেই সাত দিনের লকডাউন জারি করেছে ভুটান।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে আন্তঃরাজ্য যাতায়াত ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। করোনা মূলত ছড়াচ্ছে লামোইজিংখা, পারো, থিম্পুতে। তৈরি করা হয়েছে নো এন্ট্রি জোন। এছাড়াও এর বাইরে যদি আক্রান্তের খবর মেলে, সেখানে নতুন কড়াকড়ি চাপানো হবে বলে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভুটান সরকার জানিয়েছে সবজি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পশুদের খাবার সরবরাহে কোনও ঘাটতি দেখা যাবে না।
এদিকে, করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। ভারত সহ প্রায় ১২ টি দেশ ব্রিটেন থেকে আগত বিমান পরিষেবা স্থগিত করেছে। এখনও অবধি কমপক্ষে পাঁচটি দেশে নতুন করোনা স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। এছাড়া বিশ্বের অন্য দেশও আতঙ্কে কাঁপতে শুরু করেছে।
ডেইলি মেইলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ব্রিটেনের পাশাপাশি ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালিতেও নতুন করোনা স্ট্রেন মিলেছে। ব্রিটেনের এক যাত্রী রোমে এসেছিলেন, যার জেরে ইতালিতেও মেলে এই ভাইরাসের স্ট্রেন। নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ফ্রান্সকেও সতর্ক করা হয়েছে।