কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Protest) মেটাতে ফের আসরে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের কথায় কাজ হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আহ্বানেও সাড়া মেলেনি। এবার মোদি খোদ এই বিক্ষোভকে ঘুরপথে নিস্তেজ করার চেষ্টা করছেন। গত রবিবার তিনি হঠাতই চলে গিয়েছিলেন গুরুদ্বারে। শিখগুরু তেগবাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। এবার তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তির প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নিজের হাতে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা করেন মোদি (Narendra Modi)। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করে কেন্দ্র। বছরে তিনবার ২ হাজার টাকার কিস্তিতে দেওয়া হয় সেই টাকা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম এই কিস্তির টাকা নিজের হাতে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে ফের ২০২০ সালের শেষ কিস্তি নিজের হাতে বরাদ্দ করছেন মোদি। ঠিক যে সময়ে কৃষক বিক্ষোভে রাজধানী দিল্লি উত্তাল তখনই মোদির নিজের হাতে এই অর্থ বরাদ্দ করাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
শুধু তাই নয়, বড়দিনে নিজের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রক সুত্রের খবর, মোদি দেশের চার প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গেই এই কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করবেন। এই প্রকল্পের ফলে তারা কী কী সুবিধা পেয়েছেন, তা শুনবেন। এমনকী নতুন কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়েও তিনি কৃষকদের প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত, এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন নিয়ে সরাসরি কৃষকদের কথা শুনতে চাইলেন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই আশা দেখছেন আগামী ২৫ ডিসেম্বর কৃষক সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে।
এদিকে, কেন্দ্রের তরফে বিক্ষোভরত কৃষকদের ৪০টি সংঠনকে নতুন করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কৃষক সংঠনগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করবে, কেন্দ্রের নতুন করে বৈঠকের যে প্রস্তাব তা তাঁরা গ্রহণ করবেন কিনা।