স্রেফ চার্জ দিলেই কেল্লাফতে! যাত্রী পরিষেবা সচল রাখতে এখন ভরসা ই-বাস

খরচ কম। কিন্তু আয় বেশি। তাই যাত্রী পরিষেবা সচল রাখতে এখন নিগমের ভরসা ইলেকট্রিক বাসই। তেলের খরচ নেই। শুধুই চার্জিংয়ের খরচ। তাই দিনে এখন যত বেশি সম্ভব ট্রিপ চালানো হচ্ছে ই-বাসে। এসি হোক বা নন-এসি, তেলের খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবহন নিগমগুলি। হিসেব বলছে, এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে এসি বা নন-এসি সরকারি বাসে খরচ পড়ে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। সেখানে ই-বাসে খরচ ১২ থেকে ১৫ টাকা। ফলে লোকসানের বাজারে এখন এই ই-বাসই ভরসা নিগমের। রাস্তায় কমানো হয়েছে ভলভো এবং নন-এসি বাস।

পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, লকডাউন থেকে প্রায় আটশো বাস রাস্তায় নামত রোজ। অথচ টিকিট বিক্রি থেকে তেমন কোনও আয় হচ্ছিল না। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছিল। পরিস্থিতি এমন হয়েছে, তেল কেনার টাকার আকাল দেখা দিয়েছে নিগমে। আয়ও কমেছে হু হু করে। তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিটি পরিবহন নিগম। এই অবস্থায় ভরসা বলতে ই-বাস। নিগমের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে ৭৫টি বাস চলছে কলকাতায়। পাঁচটি চলছে দিঘায়। ফলে এই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ালে ভাল হয়। তবে এই মুহূর্তে বাস নামার সম্ভাবনা নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাসের সংখ্যা কমছে রাস্তায়। রাতের দিকে সরকারি বাসই পাওয়া যাচ্ছে না। দিনে ৩০০-৪০০ বাস নামছে।

পরিবহন নিগম সূত্রে খবর, আগে টিকিট বিক্রি করে দিনে সিএসটিসির আয় হত গড়ে ৩৪-৩৫ লক্ষ টাকা। সেই আয় কমে গড়ে ১৫ লক্ষে এসে ঠেকেছে। আর সিটিসির আয় ১৮ লক্ষ থেকে নেমেছে ১২ লক্ষে। অথচ দিনে গাড়ির তেলই লেগে যাচ্ছে প্রায় ১৬-১৭ লক্ষ টাকার। মাসে ৭০ ট্যাংকার তেল লাগে এই নিগমের। সিএসটিসির প্রায় দেড়শো লিটার। সিটিসির দূরপাল্লার বাসে যাত্রী তাও হলেও যাত্রীর আকালে শহরের এসি বাস একেবারে ফাঁকা। হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী নিয়েই ছুটতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.