কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে রবিবার বোলপুরে গিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর আশ্রম চত্বর ঘুরে দেখার পর তিনি বোলপুরে রোড শো করেন। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করছেন অমিত শাহ।
লাইভ হাইলাইটস:
- বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলা শুধু তাঁর উপরে হামলা নয়, বাংলায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও হামলা।
- অহঙ্কার তৃণমূল কংগ্রেস ও তার নেতাদের মাথায় চেপে বসেছে। কিন্তু যত এরকম করবেন বাংলায় বিজেপি তত মজবুত হবে।
- হামলার পর মুখ্যমন্ত্রীর থেকে যে প্রতিক্রিয়া আসা উচিত ছিল তা আসেনি। বরং যে ধরনের প্রতিক্রিয়া শুনেছি তা উদ্বেগজনক।
- আমফানের টাকা শাসকদলের কর্মীরা লুঠ করেছে। রেশনের চাল লুঠ করেছে। গরিব ক্ষুর্ধাত থেকেছে।
- কোনও চুরি না হলে সরকার কেন আমফানের ত্রাণের টাকার অডিট করাতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, নিজের লোকেরা করেছে তো। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
- শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে সাদর স্বাগত জানাচ্ছি।
- ত্রিশ বছরের বাম শাসন, আর এক দশকের তৃণমূল শাসনে বাংলা শুধুই নীচে গিয়েছে।
- প্রতিটি শিশু মাথায় ৫০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।
- ৩০ শতাংশ স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাস রুম নেই। ১০ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুৎ নেই। ৫৬ শতাংশ স্কুলে টয়লেট নেই।
- প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মাত্র ১৩টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে, ফলে দেশের মধ্যে ২৮ নম্বরে রয়েছে।
- তা হলে বাংলা ১ নম্বরে কোথায়, তোলাবাজিতে, পরিবারতন্ত্রে, বিরোধী দলের কর্মীদের মারধরে ১ নম্বরে রয়েছে বাংলা।
- দেশের ১০ কোটি কৃষক বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেয়েছেন, বাংলায় কৃষকরা পাচ্ছেন না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তালিকা দিচ্ছেন না। ২৩ লক্ষ কৃষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। তাদের সার্টিফিকেশনও করছেন না। শুধু একটা চিঠি দিলেই হবে। স্রেফ একটা তো সই করতে হবে। অটোগ্রাফ হিসাবে দিয়ে দিন। ভাইপোর জন্মদিনে বাধাই হিসাবে দিয়ে দিন।
- সেচ মাত্র ৫৫ শতাংশতেই থেমে রয়েছে। নাবার্ডের সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, সেচ ব্যবস্থায় ২৪ নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলা।
- স্বাস্থ্য বিমা খাতে ৫ লক্ষ টাকা প্রতিটি পরিবার পেতে পারত। কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি এখানে।
- তৃণমূল কংগ্রেস শুধু একটা পরিবারের পার্টি হয়ে রয়ে গিয়েছে।
- দশ কোটি বাঙালির চিন্তা ছেড়ে শুধু ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
- বাংলায় তিনটে মারাত্মক ট্রেন্ড চলছে তৃণমূল জমানায়। প্রশাসনের সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ, রাজনীতির পুরোপুরি অপরাধীকরণ আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় পরিণত করেছে।
- বিজেপি কর্মীদের উপর যত হামলাই হোক, আমরা পিছু হটছি না।
- মমতাজি যখন কংগ্রেসে ছিলেন, ইন্দিরা গান্ধী বাংলায় এলে কী বলতেন? বহিরাগত? যখন নরসিংহ রাও আসতেন কী বলতেন? এটা স্রেফ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা। আপনার বিরুদ্ধে বাংলার ভূমিপুত্রই লড়বে।
- বাংলার ভূমিপুত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে। এটা তো সংকীর্ণচিন্তা। বাংলা মুক্ত চিন্তার জায়গা।
- তৃণমূল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে পারবে না।
- কেন্দ্র যে চিঠি লিখেছে তা নিয়ম অনুযায়ীই করেছে। (তিন অফিসার বদলি প্রসঙ্গে)
- মমতা সহানুভূতি পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছে। এটা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাংবাদিক বৈঠকে আলোচনার বিষয় নয়।
- সিএএ-র নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। করোনার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকেছে, এতো বড় অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে টীকাকরণ একবার শুরু হলে এই প্রক্রিয়াও নতুন করে শুরু হয়ে যাবে।