করোনা নিয়ে কিছুটা হলেও আশার খবর। ভারতে সম্ভবত করোনার দ্বিতীয় টেউ আছড়ে পড়বে না। এমনটাই জানানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের তরফে।
ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি অতিমারিতে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন কমছে। বিশিষ্ট ভাইরাসবিদ ডাক্তার শহিদ জামিল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় করোনার যে দাপট দেখা গিয়েছিল, সেই তুলনায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমেই নিম্নগামী।
শহিদ জামিল বলছেন, “এই মুহূর্তে আমরা দেখছি প্রতিদিন গড়ে ২৫,৫০০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু তখন সংখ্যাটা ছিল ৯৩ হাজার। আমার মনে হয় সবচেয়ে খারাপ যা দেখার দেখে নিয়েছি। কিন্তু ভবিষ্য়তে একটা ছোট করোনার ঢেউ দেখতে পারি। যেমনটা গত নভেম্বরের শেষের দিকে দেখেছি। আমার মনে হয় না করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমরা দেখতে পাব। উত্সবের মরসুম (দসেরা থেকে দিওয়ালি) ও একটা রাজ্য নির্বাচন কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে করোনার কোনও লাফ দেখিনি।”
তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় জাতীয় সেরোসার্ভের দেখলে বোঝা যাবে, সেই সময় নিশ্চিতভাবে আক্রমণের সংখ্যা ১৬ গুন ছিল। সেটা না কমলে ভারতে আজ আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০ মিলিয়ন হয়ে যেত। এটাও খেয়াল করে দেখা গিয়েছে যে, জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ সুরক্ষিত হয়ে গিয়েছে এবং করোনা সংক্রমণকে ভেঙে দিয়েছে।”
জামিল আরও জানিয়েছেন, “অরক্ষিত এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিরা সংক্রামিত হতে থাকবেন। যদি অনাক্রম্যতা এক বছর বা তারও কম স্থায়ী হয়, তবে আমাদের সামনের কয়েক বছর নিয়মিত বিরতিতে ছোট ছোট করেনার ঢেউ সামলাতে হবে। কিন্তু ভাল টিকা এটিকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।”