সব জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে শনিবারেই। অমিত শাহের সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূলের ঘরে বড়সড় ভাঙন। দল ছাড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার ঠিক আগেই তৃণমূলকর্মী ও রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিলেন অধিকারী সাম্রাজ্যের যুবরাজ।
শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপির সভা শুরু হয়ে যাওয়ার পরই এই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। ততক্ষণে শুভেন্দুর দলবদলের ইঙ্গিত অনেকটাই স্পষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ পেরেক গাঁথার কথা যখন বিজেপি নেতাদের মুখে, তখন নিজের ক্ষোভের কথাই চিঠিতে লিখলেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা শুভেন্দুর দলবদল যে রাতারাতি নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সেটা পরিস্কার। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এদিন চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন তা মোটামুটি এরকম, ‘গত ১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমাদের প্রিয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ একটা কঠিন সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০২১-এ রাজ্যবাসীকে একটা পথ বেছে নিতেই হবে, যার প্রভাব পড়বে গোটা বাংলায়।’ অর্থাৎ চিঠির শুরুতেই রাজ্যের পালাবদলের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছি।’ তাই তার আগে এই চিঠি দিলেন তিনি।
আক্ষেপ করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। দলে ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে। যারা পার্টি তৈরি করেছে, তারা গুরুত্ব পায়নি।’ তাঁর বার্তা, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১০ বছর পর দুয়ারে সরকারর মত প্রকল্প কেন নিতে হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে, তৃণমূলের ঘরে বড়সড় ভাঙন ধরানোই লক্ষ্য বিজেপির। অমিত শাহের সভার দিকে গাড়ি লাইন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ছয় বিধায়কের নাম সামনে এসেছে। শুধু বিধায়ক নয়, রয়েছেন সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদও।
কারা যোগ দেবেন এদিন?
সুনীল মণ্ডল (সাংসদ), দশরথ তিরকে (প্রাক্তন সাংসদ), বনশ্রী মাইতি (বিধায়ক, উত্তর কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর), তাপসী মণ্ডল (বিধায়ক, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর), অশোক দিন্দা (বিধায়ক, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর),
সুদীপ মুখোপাধ্যায় (বিধায়ক, পুরুলিয়া), বিশ্বজিৎ কুণ্ডু (বিধায়ক, কালনা), সৈকত পাঁজা (বিধায়ক, পূর্ব বর্ধমান), শীলভদ্র দত্ত (বিধায়ক, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগণা), দীপালী বিশ্বাস (বিধায়ক, গাজোল, মালদা), সুকরা মুণ্ডা (বিধায়ক, নাগরাকাটা, জলপাইগুড়ি), শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (প্রাক্তন মন্ত্রী)