কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের চিকিৎসা করতে পারবেন না হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা (Homeopathic medical practitioners)। তাঁরা প্রেসক্রিপশনে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্রের নামও লিখতে পারবেন না। তবে সরকার অনুমোদিত কিছু ‘সাপ্লিমেন্ট’ বা ‘ট্যাবলেট’ বা ‘মিক্সচার’-এর নাম তাঁরা আক্রান্তকে বলে দিতে পারবেন, যা গ্রহণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত এই রায় দিয়েছে।
এর আগে এই বিষয়ে কেরল হাই কোর্টও একই রায় দিয়েছিল। গত ৬ মার্চ কেন্দ্রের আয়ুশ মন্ত্রকের একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা কোভিডের চিকিৎসায় ওষুধ দিতে পারবেন না। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওষুধ দিতে পারবেন। বস্তুত, এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আগের সেই রায়ই বহাল রেখেছে। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ সারাতে পারেন এমন বিজ্ঞাপনও করতে পারবেন না। তাঁদের ৬ মার্চ প্রকাশিত আয়ুশ মন্ত্রকের নির্দেশিকাটি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগেই বলা হয়েছিল যে আয়ুষ ও হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা, চিকিৎসা হিসাবে নয়, বরং কোভিডের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে সরকার অনুমোদিত ট্যাবলেট বা ওষুধ ‘প্রেসক্রাইব’ করতে পারেন। এই রায় দেওয়া হয়েছিল গত ২১ আগস্ট। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা পড়ে। ড. একেবি সদ্ভাবনা মিশন স্কুল অফ হোমিও ফার্মাসির তরফে ওই রায়ে পরিবর্তনের আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার সেই পিটিশন আদালত খারিজ করে দিয়েছে।