হালিশহরের পর পূর্বস্থলী (Purbasthali), বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কর্মী খুনে অভিযোগের তীর আবারও সেই তৃণমূলের দিকে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাংলার পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একদিকে যেমন দলে ভাঙ্গা গড়ার খেলা লেগেই রয়েছে, তেমনি শোনা যাচ্ছে বিজেপি কর্মীরা দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে গেলেই, তাদের উপর চড়াও হচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
সম্প্রতি শনিবার রাতেই হালিশহরে বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল দলীয় কর্মসূচী সেরে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতীদের হামলার শিকার হন। ১০- ১২ জন দুষ্কৃতী ৬ টি বাইকে করে হকি স্টিক, লোহার রড এমনকি বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারধরের পর গুরুতর অবস্থায় সৈকত ভাওয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এখানে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপির বুথ সভাপতি।
এবার হালিশহরের পর বর্ধমানের পূর্বস্থলী। একই অভিযোগ তুলল বিজেপি কর্মীরা। পূর্বস্থলীর নিমদহ পঞ্চায়েতের চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুখদেব প্রামাণিক, একজন বিজেপি সদস্য ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার বর্ধমানেরই জামালপুরে দলের কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই উধাও হয়ে যান সুখদেব প্রামাণিক। অনেক খোঁজা খুঁজি করেও গত দুদিন ধরে তাঁর কোন খোঁজ মেলে না।
আচমকাই রবিবার সকালে সুখদেব প্রামাণিকের বাড়ির এলাকায় এক পুকুরে ভেসে ওঠে তাঁর দেহ। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীর খুনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে কালনা-কাটোয়া রোড অবরোধ করে স্থানীয়রা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।