রাজ্য জুড়ে গণনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে ২৫ হাজার ভোটকর্মী সমগ্র গণনাকার্য সামলাবেন বৃহস্পতিবার। এদিকে স্ট্রংরুমের বাইরে কড়া পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অশান্তি এড়াতে টহল দিচ্ছে পুলিশও।
কলকাতায় শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, গণনার দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুলিশও। মোতায়েন থাকবে মোট ৪ হাজার বাহিনী। ইতিমধ্যে স্পর্শকাতর এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়তি নজরদারি। উল্লেখ্য, শহরের ১৩টি গণনা কেন্দ্রর দিকে নজর থাকবে কাল। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরে থাকছে কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়াও থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রের বাইরে দুজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন বলে জানানো কমিশন সূত্রে।
রায়গঞ্জের পলিটেকনিক কলেজে হবে ৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। কলেজের স্ট্রংরুমে কড়া নিরপত্তায় রাখা হয়েছে ইভিএম। আরও ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে ইসলামপুর কলেজে। যথারীতি কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া পলিটেকনিক কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রয়েছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিও। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বিপিসি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গণনাকেন্দ্রটিকে। রানাঘাট কেন্দ্রের গণনা হবে রানাঘাট কলেজে। কলেজের ২টি বিল্ডিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে গণনার। রয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে গণনা হবে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনার স্থান নির্বাচিত হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটিতে। এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বর্ধমানের পলিটেকনিক কলেজে। কড়া নিরাপত্তায় থাকছে আধাসেনা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বোলপুর কলেজে। আসানসোল ডিএভি পাবলিক স্কুলে হবে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গণনা।