পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড নিয়ে হামলা জঙ্গিদের, আহত ২

জম্মু কাশ্মীরের সোপোরে এবার গ্রেনেড নিয়ে সরাসরি পুলিশ পোস্টে হামলা চালাল জঙ্গিরা। বারামুল্লা জেলার সোপোরের ওই পুলিশ পোস্টে হামলার জেরে দুই সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য চৌঠা ডিসেম্বর জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগের জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচনেও জঙ্গি হামলা হয়। এক প্রার্থীর ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি গুরুতর আহত হন। এদিকে, দিন কয়েক আগেই জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার টিকেন এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের সাথে একটানা গুলির লড়াই চলে সেনার। এনকাউন্টার শেষে নিকেশ করা যায় দুই জঙ্গিকে।

দক্ষিণ কাশ্মীরের টিকেন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ, সেনার ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গি, এই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাড়িকে ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। এরপরেই গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। জানা যায় ওই বাড়িটিতে ২-৩জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছিল। প্রায় পাঁচটি বাড়িকে ঘিরে ফেলা হয়। একাধিক রাউন্ড গুলি চলে। এনকাউন্টারের পরে দুই অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়।

এক সাধারণ নাগরিক এই গুলি বিনিময়ের ঘটনার পরে আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলওয়ামার গোটা এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শুক্রবার, সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল উপত্যকা। টানা গুলির লড়াই চলছিল পাকিস্তান সেনার সঙ্গে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে এই গুলির লড়াইয়ে ভারতীয় সেনার হাতে মৃত্যু হয় পাঁচ পাক সেনা জওয়ানের। জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলির লড়াই শুরু হয়।

সেনা সূত্রে খবর পুঞ্চ জেলার মানকোটে সেক্টরে পাক সেনা ভারি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এরই সঙ্গে চলে শেলিং। স্থানীয় গ্রামগুলি লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার ছোঁড়া হয় বলে খবর। বিনা প্ররোচনায় পাক সেনা গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। প্রায় দু ঘন্টা ধরে টানা গুলির লড়াই চলে।

চলতি বছরে একাধিকবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি সম্পন্ন করে। তবে তা কখনই মেনে চলে না পাকিস্তান। বারবারই পাক সেনা বিনা প্ররোচনায় গুলি বর্ষণ শুরু করে। তবে এদিন পাল্টা জবাব দেয় ভারতও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.